বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:কজ্জলী - পরশুরাম (১৯৪৯).pdf/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
কজ্জলী

চিত্তবিনোদনের উপকরণ সজ্জিত আছে। কাল হইতে পূজার বন্ধ, সেজন্য মেসের অনেকে দেশে চলিয়া গিয়াছে। বাকী আছে কেবল নিবারণ ও পরমার্থ। ইহারা কোথাও যাইবে না, কারণ দুইজনেরই শ্বশুরবাড়ির সকলে কলিকাতায় আসিতেছেন।

 নিবারণ কলেজে পড়ায়। পরমার্থ ইনশিওরান্সেব দালালি, হঠযোগ এবং থিয়সফিব চর্চা করে। আজ সন্ধ্যায় মেসের বৈঠকখানায় ইহারা দুইজন এবং পাশের বাড়ির নিতাইবাবু আড্ডা দিতেছেন। নিতাইবাবু নিত্যই এখানে আসেন। তাঁর একটু বয়স হইয়াছে, সেজন্য মেসের ছোকরার দল তাঁকে একটু সমীহ করে, অর্থাৎ পিছন ফিরিয়া সিগারেট খায়।

 নিতাইবাবু বলিতেছিলেন—‘চিত্তে সুখ নেই দাদা। ঝি-বেটী পালিয়েছে, খুকীটার জ্বর, গিন্নী খিটখিট করছেন, আপিসে গিয়েও যে দু-দণ্ড ঘুমুব তার জো নেই, নতুন ছোট-সায়েব ব্যাটা যেন চরকি ঘুরছে।’

 পরমার্থ বলিল ‘কেন আপনাদের আপিসে তো বেশ ভাল ব্যবস্থা আছে।’

 নিতাই। সেদিন আর নেই রে ভাই। ছিল বটে মেকেঞ্জি সায়েবের আমলে। বরদা-খুড়োকে