সেখানে পৌঁছলে রামগিধড়। তাঁকে সঙ্গে ক'রে নিয়ে বাবার আশীর্বাদ পাইয়ে দেবেন।
বকুবাবুর মাথা বিগড়ে গেল। সমস্ত রাত তিনি খেয়াল দেখলেন রামগিধড় হুয়া হুয়া করছে। রামরাজ্য, কাউনসিলে অপ্রতিহত, প্রতাপ, লাট, মন্ত্রী - এসব বড় বড় কথা তাঁর মনে ঠাঁই পায় নি। রামজাদু মরবে আব তিনি কাউনসিলে ঢুকবেন - এইটেই আসল কথা তার পর বামরাজ্যই হ'ক তার রাক্ষসরাজ্যই হ’ক, দেশের লোক বাঁচুক বা বাবার পেটে যাক, তাতে তাঁর ক্ষতিবৃদ্ধি নেই।
তার পর সোঁদরবনে গভীর অমাবস্যা রাত্রে বাবা তাঁকে দর্শন দিলেন।'
বিনোদ বলিলেন — চাটুজ্যেমশায়, আপনি বড় ফাঁকি দিচ্ছেন। বাবাব মূর্তিটা কি রকম তা বলুন?'
চাটুজ্যে। বলব না, ভয় পাবে। বিশেষ ক'রে এই উদোটা।
উদয় বলিল - ‘মোটেই না। হাজারিবাগে থাকতে কতবার আমি রাত্তিরে একলা উঠেছি। বউ বলত -'
চাটুজ্যে বলিলেন - ‘বউ বলুক গে। বাবা প্রথমটা সৌম্য ব্রাহ্মণের মূর্তি ধ'রে দেখা দিয়েছিলেন।
১০৪