পাতা:কজ্জলী - পরশুরাম (১৯৪৯).pdf/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
স্বয়ংবরা

পাত্র দেখার ভার কখনও পাই নি। দুজনেই ক্রোবপতি, দুটোই পাঁড়মাতাল। একটা লম্বায় বড়, আব একটা ওজনে পুষিয়ে নিয়েছে। বিদ্যাবুদ্ধির পরিচয় এ যাবৎ যা পেয়েছি তা শুধু ঘোঁত ঘোঁত। চুলোয় যাক, মেমের যখন আপত্তি নেই তখন যেটার হয় নাম বলব। আর যদি বুঝি যে মেম আমার কথা রাখবে, তবে বলব- মা লক্ষ্মী, মাথা যখন আগেই মুড়িয়েছ তখন বাকী কাজটুকুও সেবে ফেল। এই দু-ব্যাটা ভাবী স্বামীকে ঝেঁটিযে নবকস্থ কব।


ল্প করতে করতে বেলা প্রায় সাড়ে নটা হয়ে এল। এর পবেই একটা ছোট স্টেশনে গাড়ি থামবে, সেই অবসবে সায়েব-মেমরা হাজবি খেতে খানা-কামরায় যাবে। এতক্ষণ ঠাওর হয় নি, এখন দেখতে পেলুম চা খেয়ে মেমেব ঠোঁট ফ্যাকাশে হয়ে গেছে। বুঝলুম রংটি কাঁচা। মেম একটি সোনার কৌটো খুললেন, তা থেকে বেরুল একটি ছোট আরশি, একটি লাল বাতি, একটি পাউডারের পুঁটুলি। লালবাতি ঠোঁটে ঘ’সে নাকে একটু পাউডাব লাগিয়ে মুখখানি মেরামত ক’বে নিলেন।

১২৫