বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:কজ্জলী - পরশুরাম (১৯৪৯).pdf/১৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
কজ্জলী

 কি আর করা যায়, পড়েছি যবনের হাতে। একটা রামপ্রসাদী ধরলুম।

 সমস্ত পথটা এই রকম চলল, অবশেষে মোগলসরাই এল। মেম বললে কলকাতায় গিয়েই তাদের বিয়ে হবে, আমি যেন তিন দিন পরে গ্রাণ্ড হোটেলে অতি অবশ্য তাদের সঙ্গে দেখা করি। বিস্তর শেকহ্যাণ্ড, বিস্তর অনুরোধ, তারপর নেমে কাশীর গাড়ি ধরলুম।...... পরদিন আবার কলকাত। যাত্রা।’


বিনোদবাবু বলিলেন ‘আচ্ছা চাটুজ্যেমশায়, গিন্নী সব কথা শুনেছেন?’

 ‘কেন শুনবেন না। সতীলক্ষ্মী, তায় পঞ্চাশ বছর বয়স হয়েছে। তোমাদের নবীনাদের মতন অবুঝ নন যে অভিমানে চৌচির হবেন। আমি বাড়ি ফিরে এসেই তাঁকে সমস্ত বলেছি।’

 চাটুজ্যেগিন্নী শুনে কি বললেন?

 ‘তক্ষুনি একটা উড়ে নাপিত ডেকে বললেন—দে তো রে, বুড়োর মুখখানা আচ্ছা ক’রে চেঁচে, ম্লেচ্ছ মাগী উচ্ছিষ্টি ক’রে দিয়েছে! তারপর সেই চুনির আংটিটা কেড়ে নিয়ে গঙ্গাজলে ধুয়ে নিজের আঙুলে পরলেন।’

১৩৮