পাতা:কজ্জলী - পরশুরাম (১৯৪৯).pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিরিঞ্চিবাবা

আপনার দশ টাকা, পাঁড়েজী আর কোচমানজীর পাঁচ-পাঁচ, সহিস মালী এদের আরও পাঁচ।

 সৌজন্যে অভিভূত হইয়া বছিরুদ্দি, ফেকু এবং ঝোটি দত্তবিকাশ করিয়। বার বার সেলাম করিল এবং খোদা ও কালীমায়ীর নিকট বাবুজীদের তরক্কি প্রার্থনা করিল।

 মৌলবী বলিলেন—‘আর বাবু-মশয়, সে সব দিন-খ্যান কমনে চলে গেছে। মা-ঠাকরোন বেহস্ত পাওয়া ইস্তক মোদের বাবুসায়েবের জানডা কলেজায় নেই। অত ক’রে বললাম, হুজুর অমন পসারডা নষ্ট করবেন না। তা কে শোনে?—খোদার মর্জি।’

 নিবারণ বলিল—‘ও বাবাজীটাই যত নষ্টের গোড়া।’

 ফেকু পাঁড়ে ভরসা পাইয়া মত প্রকাশ করিল- বিরিঞ্চিবাবা বাবাজী থোড়াই আছেন। তাঁর জনৌ ভি নাই, জটা ভি নাই। তিনি মছরি খান, বকড়ির গোস্ত ভি খান। দোনো সাঁঝ চা-বিস্কুট না হইলে তাঁর চলে না। এ সব বংগালী বাবাজী বিলকুল জুয়াচোর। আর ছোটা মহারাজ যিনি আছেন তিনি তো একটি বিচ্ছু, ফেকু পাঁড়েকে পর্যন্ত দংশন করিতে তাঁর সাহস হয়। তিনি জানেন না যে উক্ত ফেকু পাঁড়ে মিউটিনিমে তলোয়ার খেলায়া থা (যদিও ফেকু তখনও জন্মেন নাই)। একবার

২৩