পাতা:কজ্জলী - পরশুরাম (১৯৪৯).pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
কজ্জলী

আহারে তার নিবৃত্তি। অতএব ভোগের মূলে হচ্ছে প্রবৃত্তি, ভোগের ফল হচ্ছে নিবৃত্তি। তুলসী ছিল সন্ন্যাসী। আমি বললুম-বাপু, ভোগ না হ'লে তো তোমার নিবৃত্তি হবে না। তার রামায়ণ লেখা শেষ হ’লে তাকে রাজা মানসিংহ ক'রে দিলুম। অনেক বিষয়-সম্পত্তি করেছিল, কিন্তু কিছুই রইল না। তার ব্যাটা জগৎসিংহ বাঙালীর মেয়ে বে ক'রে সমস্ত উড়িয়ে দিলে। বঙ্কিম তার বইয়ে সে-কথা আর লেখে নি।'

 ব্যারিস্টার ও. কে. সেন বলিলেন- 'ওআণ্ডারফুল!'

 নিতাইবাবু আর থাকিতে পারিলেন না। ছুটিয়া গিয়া বাবার সম্মুখে গলবস্ত্র হইয়া বলিলেন—“দয়া কর প্রভু!’

 বাবা ভ্রূ কুঞ্চিত করিয়া বলিলেন— “কি চাই তোমাব?'

 নিতাইবাবু থতমত খাইয়া বলিলেন— 'নাইণ্টিন ফোর্টিন।'

 সত্যব্রতের একটা মহৎ রোগ- সে হাসি সমলাইতে পারে না। সে নিজে বেশ গম্ভীর হইয়া পরিহাস করিতে পারে, কিন্তু অপরের মুখে অদ্ভুত কথা শুনিলে তার গাম্ভীর্যরক্ষা কঠিন হয়। হাস্য দমনের জন্য

৩২