পাতা:কথামালা - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (সচিত্র).pdf/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
কথামালা
৮৩

জড়াইয়া থাকি, তখন আমাকে জড়াইয়া তুমি কি তোমার বুদ্ধিহীনতার পরিচয় দেও নাই?” |

 যে অন্যের উপর নির্ভর কবে, সে অপরকে সাহায্য করিতে পাবে না।

সংলগ্ন-একত্রিত, জোড়া॥   যন্ত্রণায়—যাতনায়।

দুৰ্বত্ত-দুষ্ট।   মঙ্গল—ভাল।


টাক ও পরচুলা

এক ব্যক্তির মস্তকের সমুদয় চুল উঠিয়া গিয়াছিল। সকলকার কাছে সেরূপ মাথা দেখাইতে বড় লজ্জা হইত; এজন্য সে সর্বদা পরচুলা পরিয়া থাকিত। একদিন সে, তিন চারিজন বন্ধুর সহিত ঘোড়ায় চড়িয়া বেড়াইতে গিয়াছিল। ঘোড়। বেগে দৌড়িতে আরম্ভ করিলে, ঐ ব্যক্তির পরচুলা বাতাসে উড়িয়া, ভূমিতে পড়িয়া গেল; সুতরাং তাহার টাক বাহির হইয়া পড়িল। তাহার সহচরেরা, এই ব্যাপার দেখিয়া, হাস্যসংবরণ করিতে পারিল না। সে ব্যক্তি ও তাহাদের সঙ্গে হাস্য করিতে লাগিল, এবং বলিল, “যখন আমার আপনার চুল মাথায় রহিল না, তখন পরের চুল আটকাইয়া রাখিতে পারিব, এইরূপ প্রত্যাশা করা অন্যায়।”

টাক—কেশশূন্য মস্তক। পরচুলা—কৃত্রিম কেশ।

সহচবেরা—সঙ্গীরা, বন্ধুরা। ব্যাপার-ঘটনা।

হাস্যসংবণ-হাসি থামান। প্রত্যাশা-আশা, ভরসা।