তিনি আজ আদালতে আসিয়া হাজির হইলেন। ম্যাজিষ্ট্রেট্ তাঁহার নালিশ শুনিয়া তাঁহাকে প্রাইভেট্ কাম্রার মধ্যে ডাকিয়া লইয়া অত্যন্ত খাতির করিয়া কহিলেন, শশিবাবু, এ মকদ্দমাটা গোপনে মিট্মাট্ করিয়া ফেলিলে ভাল হয় নাকি!
শশিবাবু টেবিলের উপরিস্থিত একখানি আইন গ্রন্থের মলাটের উপর তাঁহার কুঞ্চিতভ্রূ ক্ষীণদৃষ্টি অত্যন্ত নিবিষ্টভাবে রক্ষা করিয়া কহিলেন, আমার মক্কেলকে আমি এরূপ পরামর্শ দিতে পারি না। তিনি প্রকাশ্যভাবে অপমানিত হইয়াছেন, গোপনে ইহার মিট্মাট্ হইবে কি করিয়া।
সাহেব দুইচারি কথা কহিয়া বুঝিলেন এই স্বল্পভাষী স্বল্পদৃষ্টি লোকটিকে সহজে বিচলিত করা সম্ভব নহে, কহিলেন, অল্রাইট্ বাবু, দেখা যাউক কতদূর কি হয়!
এই বলিয়া ম্যাজিষ্ট্রেট্ সাহেব মকদ্দমার দিন ফিরাইয়া দিয়া মফস্বল ভ্রমণে বাহির হইলেন।
এদিকে জয়েণ্ট সাহেব জমিদারকে’পত্র লিখিলেন, তোমার নায়েব আমার ভৃত্যদিগকে অপমান করিয়া আমার প্রতি অবজ্ঞা প্রকাশ করে, আশা করি তুমি ইহার সমুচিত প্রতিকার করিবে।
জমিদার শশব্যস্ত হইয়া তৎক্ষণাৎ হরকুমারকে তলব করিলেন। নায়েব আদ্যোপান্ত সমস্ত ঘটনা খুলিয়া বলিলেন। জমিদার অত্যন্ত বিরক্ত হইয়া কহিলেন, সাহেবের মেথর