প্রেতভূমে' ›:ዋ চরণে দলিত করিয়া গেলেন। চতুর্দিক বেড়িয়া খবমাংসভুক্ত পশু সকল ফিরিতেছিল ; মনুষ্য ছুই জনের আগমনে উচ্চকণ্ঠে রব করিতে লাগিল, কেহ আক্রমণ করিতে আসিল, কেহ বা পদশব্দ করিয়া চলিয়। গেল। কপালকুণ্ডল দেখিলেন, নবকুমারের হস্ত কঁাপিতেছে ; কপালকুণ্ডলা স্বয়ং নিষ্ঠীক্, নিষ্কম্প । কপালকুণ্ডল জিজ্ঞাস করিলেন,"স্বমিন্! ভয় পাইতেছ?” নবকুমারেব মদিরার মোহ ক্রমে শক্তিহীন হইয়া অ:সিহেছিল । অতি গম্ভীর স্ববে নবকুমাব উত্তর করিলেন, “ভয়ে, মৃন্ময় ? তাহা নহে ।” কপালকুণ্ডল জিজ্ঞাসা কৰিলেন, "তবে কঁাপিতেছ কেন !" এই প্রশ্ন কপালকুণ্ডলা সে স্বরে কবিলেন, তাহ কেবল ৰমণীকঠেষ্ট সম্ববে। (যখন রমণী পরদুঃখে গলা যায় কেপল তখনই রণণী কণ্ঠে সে স্বর সম্ভবুেy কে জানি ত যে আসন্ন কালে শ্মশানে আসিয়া কপালকুণ্ডলার কণ্ঠ হইতে এ স্বব নির্ণত হইলে ? নবকুমান কছিলেন, "ভয় নহে । কঁদিতে পারিতেছি না, এই ক্রোধে কাপিতেছি ।” কপালকুণ্ডল জিজ্ঞাসিলেন “কদলে কেন ? -- আবার সেই কণ্ঠ ! নবকুমাৰ কহিলেন, “কঁদিব কেন ? তুমি কি জানিৰে মৃণায়ি! ভূমিত, কখন রূপ দেখিয় উন্মত্ত হও নাই—” ধণিতে বলতে নবকুমারেৰ কণ্ঠস্বৰ যাতন্ময় রন্ধ হইয়। অসিতে লাগিল। “তুমি ত কখন সুপনার দ্বৎপিণ্ড আপনি ছেদন কহিয়, শ্মশানে ফেলিতে আইস নাই।” এই ললিয়া সহসা নবকুমার চীংকার করিয়া রোদন করতে করিতে কপালকুণ্ডলার পদতলে আছা ড়িয়া পড়িলেন। -
পাতা:কপালকুণ্ডলা (চতুর্থ সংস্করণ).pdf/১৩৪
অবয়ব