A R. কপালকুণ্ডলা । ব্যাঘ্র ভল্লুকে প্রাণনাশ করিবেক। অদ্য না করে কল্য কৰিলে। প্রাণনশই নিশ্চিত। - মনের চাঞ্চল্যহেতু নবকুমার একস্থানে অধিকক্ষণ বসিয়া থাকিতে পারিলেন মা । তীর ত্যাগ করিয়া উপরে উঠিলেন। ইতস্ততঃ ভ্রমণ করিতে লাগিলেন । ক্রমে অন্ধকার হইল। শিশিরাকাশে নক্ষত্রমণ্ডলী নীরবে ফুটিতে লাগিল, যেমন নবকুমারের স্বদেশে ফুটিতে থাকে তেমনি ফুটিতে লাগিল । অন্ধকাবে সৰ্ব্বত্র জনহীন ;—আকাশ, প্রাস্তর, সমুদ্র সর্বত্র নীরব, কেবল অবিরল-কল্লোলিত সমুদ্রগর্জন আর কদাচিৎ বন্ত পশুর রব। তথাপি সেই অন্ধকারে, শীতবৰ্ষী আকাশতলে বালুকাস্ত,পের চতুঃপাশ্বে ভ্রমণ করিতে লাগিলেন। কখন উপত্যকায়, কখন অধিত্যকায়, কখন শু পতলে, কখন স্ত,পশিখৰে ভ্রমণ করিতে লাগিলেন। চলিতে চলিতে প্রতিপদে হিংস্র পশুকর্তৃক আক্তাস্ত হইবার সম্ভাবনা । কিন্তু একস্থানে বসিয়া থাকিলেও সেই আশঙ্কা । ভ্রমণ করিতে করিতে নবকুমারের শ্রম জন্মিল। সমস্ত দিন অনাগর; এজন্য অধিক অবসর হইলেন। এক স্থানে বালিগা ডিব શ્નોત્ર’ તૂર્ક রক্ষা করিয়া বসিলেন । গুহেব মুখতপ্ত শয্যা মনে পড়িল । যখন শাৰীরিক ও মানসিক ক্লেশের অবসাদে চিন্ত্র। উপস্থিত হয়, তখন প্রায়ই নিদ্রা আসিয়া সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত হয়। নবকুমার চিন্তা করিতে করিতে তন্দ্রাভিভূত হইলেন । বোধ হয়, যদি এরূপ নিয়ম না থাকিত, তবে সাংসারিক ক্লেশের জ প্রতিহত বেগ সকলে সকল সময়ে সহ্য করতে পারিত না ।
পাতা:কপালকুণ্ডলা (চতুর্থ সংস্করণ).pdf/১৯
অবয়ব