সমুদ্রতটে । ➢ጭ অনুচিত। ইত্যাদি বিবেচনা করিয়া নবকুমার আপাততঃ কুটারমধ্যে অবস্থান করাই স্থির করিলেন । কিন্তু ক্রমে বেলা অপরাহ্ল হইয়া আসিল, তথাপি কাপালিক প্রত্যাগমন করিল না। পূৰ্ব্বদিনে উপবাস, অদfএ পর্য্যন্ত অনশন, ইহাতে ক্ষুধা প্রবল হইয়া উঠিল। কুটীর মধ্যে যে অল্পপরিমাণ ফলমূল ছিল তাহা পূৰ্ব্বরাত্রেই ভুক্ত হটয়াছিল— এক্ষণে কুটীর ত্যাগ করিয়৷ ফলমুলাম্বেষণ না করিলে ক্ষুধায় প্রাণ যায় । অল্প বেলা থাকিতে ক্ষুধার পীড়নে নবকুমার ফলান্বেষণে বাহির হইলেন । নবকুমার ফলান্বেষণে নিকটস্থ বালুকাস্তুপসকলের চারিদিকে পরিভ্রমণ করিতে লাগিলেন। যে দুই একটু গাছ বালু কায় জন্মিয় থাকে, তাহার ফলস্বদন করিয়া দেখিলেন যে এক বৃক্ষের ফল বাদামের ন্যায় অতি স্বাঞ্ছ। তদাবা ক্ষুধানিবৃত্তি করিলেন । কথিত বালুকাস্ত পশ্রেণী গ্রন্থে অতি অন্ন, অতএব নবকুমাৰ অন্নকাল ভ্রমণ করিয়। তাহ পর হটলেন। তৎপৰে বালুকনিগম নিবিড় বনমধ্যে পড়িলেন । র্যাহারা ক্ষণকাল জন্য অপূৰ্ব্বপরিচিত বনমধ্যে ভ্রমণ করিয়াছেন, তাহারা ਬੈ। যে ধপহীন ৰামধ্যে ক্ষণমধ্যেই পথ গ্রাস্তি জন্মে। নবকুমারের তাহষ্টে ঘটিৰে । কিছু দূর অসির আশ্রম কোন পথে ছেন তাহ। স্থির করিতে পরিলেন না । গম্ভীর জলকল্লোল ঠাহার কর্ণপথে প্রবেশ করিল?—তিনি বুঝিলেন যে এ সাগর, গজন। ক্ষণকাল পরে অকস্মাৎ বনমধ্য হইতে বহির্গত হইয়। দেখিলেন যে সন্মুখেই সমুদ্র । অনন্ত বিস্তার নীলাম্বুমণ্ডল সম্মুখে দেখিয়া উৎকটানদে হৃদয় পরিপ্লুত হইল। সিকতাম। ভটে গিয়া উপবেশন করিলেন। কেলি, নীল, অনন্ত সমুদ্র ?
পাতা:কপালকুণ্ডলা (চতুর্থ সংস্করণ).pdf/২৪
অবয়ব