পাতা:কপালকুণ্ডলা (দ্বিতীয় সংস্করণ).pdf/১২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
শয়নাগারে।
১১৯

 কপালকুণ্ডলা প্রয়োজনীয় গৃহকার্য্যে ব্যাপৃত হইলেন। গৃহকার্য্য সমাধা করিয়া ওষধির অনুসন্ধানে গৃহ হইতে বহির্গত। হইলেন। তখন রাত্রি প্রহরাতীত হইয়াছিল। নিশা সজ্যোৎস্না। নবকুমার বহিঃকক্ষ্যায় বসিয়াছিলেন, কপালকুণ্ডলা যে বাহির হইয়া যাইতেছেন তাহা গবাক্ষপথে দেখিতে পাইলেন। তিনিও গৃহ ত্যাগ করিয়া আসিয়া মৃণ্ময়ীর হাত ধরিলেন। কপালকুণ্ডলা কহিলেন, “কি?”

 নবকুমার কহিলেন, “কোথা যাইতেছ?” নবকুমারের স্বরে তিরস্কারের সূচনা মাত্র ছিল না।

 কপালকুণ্ডলা কহিলেন, “শ্যামাসুন্দরী স্বামীকে বশ করিবার জন্য ঔষধ চাহে, আমি ঔষধের সন্ধানে যাইতেছি।”

 নবকুমার পূর্ব্ববৎ কোমল স্বরে কহিলেন, “ভাল; কালি ত এক বার গিয়াছিলে? আজি আবার কেন?”

 ক। “কালি খুঁজিয়া পাই নাই; আজি আবার খুঁজিব।”

 নবকুমার অতি মৃদুভাবে কহিলেন, “ভাল দিনে খুঁজিলেও ত হয়?” নবকুমারের স্বর স্নেহ পরিপূর্ণ।

 কপালকুণ্ডলা কহিলেন, “দিবসে ঔষধ ফলে না।”

 নব। “কাজই কি তোমার ঔষধ তল্লাসে? আমাকে গাছের নাম বলিয়া দাও। আমি ওষধি তুলিয়া আনিয়া দিব।”

 ক। “আমি গাছ দেখিলে চিনিতে পারি, কিন্তু