পাতা:কপিরাইট আইন ২০০০ (২০০৫ সালে সংশোধিত).pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(২) এই আইনের অধীনে প্রণীতব্য বিধি সাপেক্ষে, রেজিস্ট্রার বা এতদুদ্দেশ্যে তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অনুলিপি পাওয়া যাইতে পারে এমন কোন উড়োজাহাজ, জাহাজ, যানবাহন, ডক বা আঙ্গিনায় প্রবেশ করিতে পারিবেন এবং অনুরূপ অনুলিপি পরীক্ষা করিতে পারিবেন । 80 (৩) উপ-ধারা (১)-এর অধীনে প্রদত্ত কোন আদেশ প্রযোজ্য হয় এইরূপ অনুলিপি কাস্টমস এ্যাক্ট, ১৯৬৯ (১৯৬৯ সনের ৪নং আইন) এর ধারা ১৬ অনুসারে বাংলাদেশে আমদানি নিষিদ্ধ বা নিয়ন্ত্রিত পণ্যদ্রব্যরূপে গণ্য হইবে এবং সেইমতে ঐ আইনের সমস্ত বিধান কার্যকর হইবে : তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত আইনের অধীন বাজেয়াপ্তকৃত অনুরূপ সকল কপি সরকারে ন্যস্ত না করিয়া কর্মটির কপিরাইটের মালিককে পৌঁছাইয়া দিতে হইবে ।

  • কপিরাইট (সংশোধন) আইন, ২০০৫ দ্বারা ধারা ৭৩ এর উপ-ধারা (২) এর দফা (ঘ) এর “চলচ্চিত্র সেগর । আইন” শব্দগুলির পরিবর্তে “সেগরশীপ অব ফিল্ম এ্যাক্ট” শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত।

অধ্যয়-১৪ দেওয়ানী প্রতিকার ৭৫। সংজ্ঞা।- এই অধ্যায়ের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, প্রসঙ্গের পরিপন্থী না হইলে “কপিরাইটের মালিক” অভিব্যক্তি অর্থে- (ক) একচেটিয়া লাইসেন্সের অধিকারী ; (খ) অজ্ঞাতনামা বা ছদ্মনামীয় সাহিত্য, নাট্য, সংগীত বা শিল্পকর্মের ক্ষেত্রে, যে পর্যন্ত না প্রণেতার পরিচয় উদ্ঘাটিত হইয়া থাকে কর্মটির প্রণেতা বা যৌথ প্রণেতার অজ্ঞাতনামা কর্মের ক্ষেত্রে বা যৌথভাবে রচিত কোন কর্ম যাহাদের নামে প্রকাশিত তাহাদের সকলে ছদ্মনামীয় হয় এবং তাহা হইলে প্রণেতাগণের যে কাহারো পরিচয় প্রকাশক কর্তৃক জনসাধারণ্যে প্রকাশিত হইয়া থাকে, সেই প্রণেতা অথবা তাহার আইনানুগ প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত হইবেন । ৭৬ । কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য দেওয়ানী প্রতিকার ।– (১) যেক্ষেত্রে কোন কর্মের কপিরাইট অথবা এই আইনের অধীন অর্পিত অন্য কোন অধিকার লঙ্ঘন করা হয়, সেক্ষেত্রে কপিরাইটের বা, ক্ষেত্রমত, অনুরূপ অন্য অধিকারে স্বত্বাধিকারী, এই আইনে ভিন্নরূপ বিধান না থাকা সাপেক্ষে, নিষেধাজ্ঞা, ক্ষতিপূরণ, হিসাব এবং অন্যান্য সকল প্রতিকার এবং স্বত্ব লঙ্ঘনের দায়ে আইনের প্রদত্ত অন্যান্য প্রতিকার পাইবেন ঃ তবে শর্ত থাকে যে, বিবাদী যদি প্রমাণ করেন যে, স্বত্ব লঙ্ঘনের তারিখে সংশ্লিষ্ট কর্মে কপিরাইট বিদ্যমান ছিল মর্মে তিনি অবগত ছিলেন না এবং ঐ কর্মের কপিরাইট ছিল না মর্মে তাহার বিশ্বাস করিবার যুক্তিসংগত কারণ ছিল, তাহা হইলে বাদী, স্বত্ব লঙ্ঘন সম্পর্কে নিষেধাজ্ঞা এবং স্বত্ব লঙ্ঘনক্রমে কপি বিক্রয়ের মাধ্যমে বিবাদী কর্তৃক অর্জিত মুনাফার সমগ্র বা অংশবিশেষের ব্যাপারে কোন আদেশ ব্যতীত, কোন প্রতিকার পাইবার অধিকারী হইবেন। (২) যখন কোন সাহিত্য, নাট্য ও সংগীত কর্মের ক্ষেত্রে কর্মটি প্রকাশিত হওয়ার সময় উহার কপির উপর প্রণেতা বা; ক্ষেত্রমত, প্রকাশকের অর্থ বহনকারী কোন নাম দৃষ্টিগোচর হয়, অথবা কোন শিল্পকর্মের ক্ষেত্রে, কর্মটি তৈরী হওয়ার সময় উহার উপর দৃষ্টিগোচর হইয়াছিল, সেক্ষেত্রে যে ব্যক্তির নাম ঐভাবে দৃষ্টিগোচর হয় বা হইয়াছিল, ঐরূপ কর্মের কপিরাইট লঙ্ঘন কম্পর্কে যে কোন আইনগত কার্যক্রমে ঐ ব্যক্তিকে প্রণেতা বা, ক্ষেত্রমত, প্রকাশক হিসাবে অনুমান করা হইবে যদি না ভিন্নরূপ কিছু প্রমাণিত হইয়া থাকে ।