পাতা:কবিকঙ্কণ-চণ্ডী (প্রথম ভাগ) - চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৃতজ্ঞতা স্বীকার ১৯১৯ সাল। আমি পা মচুকাইয়া শয্যাগত ছিলাম। একদিন মাননীয় রায় বাহাদুর ডাকটর দীনেশচন্দ্ৰ সেন মহাশয় আমার বাসায় আসিয়া উপস্থিত হইলেন । তিনি কথায় কথায় সংবাদ দিলেন যে আগামী বৎসর হইতে কলিকাতা ৰিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষায় এম-এ ডিগ্রি দিবার ব্যবস্থা হইবে এবং বাংলা ভাষার অধ্যাপনা শীঘ্রই আরম্ভ হইবে । আমি আনন্দে উৎফুল্ল হইয়া উঠিলাম। আমাদের মাতৃ-ভাষাকে বিশ্ববিদ্যার গৌরব দান করিয়া যিনি সমস্ত বঙ্গদেশ ও বাঙালা জাতিকে গৌরবান্বিত করিয়াছেন সেই পূজনায সার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় মহাশযকে আমার আন্তরিক আনন্দ ও কৃতজ্ঞতা জানাইতে দীনেশ বাবুকে অনুরোধ করিলাম । তখন দীনেশ-বাবু বলিলেন-সার আশুতোষই আমাকে তোমার কাছে পাঠাইয়াছেন ; দেশের বহুলোকের বিপক্ষতা বিরুদ্ধতা ও উদাসীনতার সহিত ংগ্ৰাম করিয়া তিনি এই নূতন ব্যবস্থা করিতে সক্ষম হইয়াছেন ; এখন যাহার এই ব্যবস্থায় সুখী হইয়াছে তাহদের নিকট হইতে তিনি সাহায্য চান ; তুমি তাঁহাকে সাহায্য করিতে পরিবে ? আমি বলিলাম— আযৌবন আমি অনন্যকৰ্ম্ম হইয়া মাতৃ-ভাষার সেবাকেই জীবনের ব্ৰত করিয়াছি ; আমার মতন সামান্য ব্যক্তির দ্বারা তঁহার যদি কিছু সাহায্য পাওয়া সম্ভব হয়, তবে আমি নিজকে ভাগ্যবান মনে করিব । দীনেশ-বাবু বলিলেন—তবে তোমাকে কবিকঙ্কণ পাডাইবার ভার 2नश्ड श्य । এই ভার যে কি দুর্ববহ গুরুভার তাহা ভালো করিয়া হৃদয়ঙ্গম না করিয়াই কেবল আনন্দাতিশয্যের আবেগে তৎক্ষণাৎ উহা বহন করিতে স্বীকৃত হইলাম । দীনেশ বাবু বলিলেন-বিশ্ববিদ্যালয়ের টাকা নাই ; তাহার উপর বাংলা ভাষার অধ্যাপনার প্রতি দেশের লোকের অনুরাগের সমর্থন নাই ; কাজেই ংলা ভাষার অধ্যাপকদিগকে বিনা বেতনে কাজ করিতে হইবে ।