পাতা:কবিতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
কবিতাকুসুমাঞ্জলি।
৭৫

বল কি দোষে এ দাসী দোষী তোমার চরণে,
তাই রোষবশে শুয়ে আছ মৃত্তিকাশয়নে।
তুমি ক্ষমা কর অপরাধ, গাতোল এখন,
নাথ প্রাণ যায় দেখি তব বিবর্ণ বদন।
আহা! লাগিছে তপনতাপ সহেনা অন্তরে,
বলি ধরিছে বসনাঞ্চল মুখের উপরে।
কেহ সহসা সুতের মুখ দেখিয়া তথায়,
হায়! কি হইল বলি, পড়ে অমনি ধরায়।
থাকে ক্ষণেক বিবশা হয়ে মিশে শবদলে,
পরে চেতন পাইয়া পুত্ত্রে কোলে করি বলে।
ওরে দুখিনীজীবন! তুই হৃদয়ের ধন,
বল ভূতলে শয়ান আছ কিসের কারণ।
বাছা বিবর্ণ দেখিরে কেন ও বিধুবয়ান,
হল কিসের লাগিয়া বল এত অভিমান।
তুমি যা চাহিবে তাই দিব আছে কি অভাব,
ওরে প্রাণ ফেটে যায় যাদু! দেখে তোর ভাব।
লোকে বীরের জননী বলি ডাকিত আমায়,
হায় কাঙ্গালিনী করে বাছা! যাওরে কোথায়।
তোর দুখিনী জননী আমি করিয়াছি কোলে,
মম হৃদয় শীতল কর ডাকি মা মা বোলে।