নদীতীয়ে বৃক্ষ নাহি ছিল এক স্থানে । দীর্ঘতৃণে চন্দ্রকর জলিছে সেখানে । ছোট গাছে তারামত ফুল্ল পুষ্পদলে । স্থির তার প্রতিরূপ স্থির নদীজলে । সুখ স্বপ্নে যেন তারা, নিদ্রাভরে হাসে । গগন গুমুরে মরে, সুখময় বাসে । সেই স্থানে বসি এক নারী একাকিনী । ফুলহীন বনে যেন স্থল কমলিনী । মিশেছে সে চন্দ্রিকায় ; ভাবে তায় চিত্ত শুধু সে স্বপ্নের ছায়া, অসত্য অনিত্য । ঘেীবন আশার সম ফুল্লু রূপ তাঁর । দেখিয়া ফিরালে অাখি, দেখি ফিরে বার }; স্থির ধীরা সুকোমলা বিমলা অবলা । সবে নব পুরিতেছে ধেীবনের কলা । মোহন সঙ্গীতে মন বেঁধেছে যতনে । প্রেম যেন শুনিতেছে আশার বচনে । বদনে ললিত রেখা কত হয়ে যায় । রক্তিম নীরদ যেন শারদ সন্ধায় । গলিল নয়নপদ্ম ; মুগ্ধ তার মন, | , প্রাণ মন জ্ঞান ধন জীবন যোবন, সকলি করেছে যেন গীতে সমর্পণ । } কোথ। হতে আসে সেই সুমধুৰ গান ? কেন তাতে এত আশা ? কে হরিল প্রাণ ?
পাতা:কবিতাপুস্তক.djvu/৯৪
অবয়ব