পাতা:কবিতাসংগ্রহ ১ - তপোধীর ভট্টাচার্য.pdf/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

১২
তোমার একান্ত মায়া গভীর গভীরতর
হয়ে এল
খণ্ডিত বসুধা জুড়ে, নিঃশ্বাসে-প্রশ্বাসে
বিষাদ সহজ
হয়ে গেলে কেউ কেউ ফিরে যায়
অভ্যাসের
নিপুন বয়নে, কখনো বা গাছের কোটরে
বলে যায়
মেনে নিতে হবে এই রূঢ় অবসান
নিয়মের
পাঁজি পুথি জেনে, আর কেউ কেউ
দেখে শুধু
অনুপুঙ্খময় ছায়ার সঞ্চার


সময়-পিশাচ


যতটুকু লিখি, শুধু শূন্য। আজ
সব কথকতা থেকে
নিভে যায় আলো। যাকে লিখি
সে আসলে শূন্যের পরিধি
নেই, কোনোকেন্দ্র নেই। শুধু
নেই-টুকু আছে, এই জানা
শূন্যকেই গাঢ় করে দেয়। লিখি
এই শূন্যের দোহাই দিয়ে


মাটি ও শস্যের মধ্যে আজ কোনো
মুখ দেখাদেখি নেই,
শুধু কিছু নম্র শোক আঁচল বিছিয়ে দেয়
প্রতিদিন, শিশুদের
গভীর কান্নার সুরে জেগে ওঠে ক্ষুধা
স্তনে দুধ নেই

১২২