( 6 لها ) ষে দিন লবণ সহ আন্দক আটা মস্তকে দিলাম, সেই দিনেই যাতনা নিবারণ হইল। এবং ক্রমে টাক দোষ নিবৃত্তি হওয়ায় সুখী হইলাম, এই জন্য ইহা সাধারণকে জানাইতে সাহসী হইয়াছি। অম্ন, অম্লশূল ও ডিসূপেপৃসিয়া নিবারণের সদুপায় ;- যথা— নিশাকালে শয়ন সময়ে পরিপক অর্থাৎ বড় বড় জাঙ্গী হরিতকীী ৫ । ৬ টা চর্বণ করিয়া জলপান পূর্বক শয়ন করিলে প্রাতে পবিত্ৰ ভাবে দুৰ্গন্ধময় মল-নিৰ্গত হইয়া দেহ পবিত্র হয় ; তৎপরে শুদ্ধাচারে আবার ৫ কি ৬ টা ঐ হরিতকী চর্বণ-পূর্বক জলপান করিলে বৈকালে সন্ধ্যা মধ্যে আবার একবার সুচারু-রূপে দাস্ত হইয়া কোষ্ঠ পবিত্র হয়। এইরূপে হরিতকী প্রয়োগ করিলে শূল, অম্লশূল, অজীর্ণ, ডিসপেন্সিয়া এবং অন্যান্য জঠর রোগ মাত্র আরোগ্য হইয়া রোগী সুস্থ হয়, এবং ক্ৰমে ক্ষুধাবৃদ্ধি সহ রোগী ভোক্তা ও বলবান হইয়া থাকে। যিনি স্থবিরত্ব লাভ প্ৰযুক্ত চৰ্ব্বণে অশক্য হইয়াছেন, তঁহাকে জলসহ হরিতকী শীলায় পেষণ করিয়া কৰ্দমবৎ হইলে সমভাবে কাশীর চিনি অর্থাৎ পবিত্ৰ চিনি মিশ্ৰিত করিয়া কাচ বা প্ৰস্তরের আধারে স্থাপন পূর্বক নিত্য প্ৰাতে এবং রাত্রিতে শয়নকালে ২ তোলা পরিমাণে দুইবারে নিত্য ৪ তোলা সেবন করিলে বা করাইলে তিনিও ঐ ঐ রোগ হইতে আরোগ্য-ফল প্ৰাপ্তি হইবেন সন্দেহ নাই। “দৃষ্টাফল মিদং ।” এই রোগে জলে সুপাক বার্লি ( যবের পালো ), দুগ্ধ-পাক বালি, নেয়াপাতি ডাব, মুড়ি, খৈ, সদ্যোজাত কেবল মাংসের বা চুণামাছের’ কৌশল সহ অতি সুপক দাউদ খানি চাউলের অন্ন, মািণকচু, কাচ-কলা সহ গ্যাদালপাতার ঝোল সুপথ্য হইবে। ঝালবাটন, লঙ্কা, গুড়, শশা, পিয়ারা, পরমান্ন, পিষ্টক, ভাজী, দাল, শাক, আহারান্তে দিবা নিদ্ৰা, স্ত্রী-সহবাস, শ্ৰম, চিন্তা ইত্যাদি অতি কুপথ্য।
