পাতা:কবিতা কল্পলতা - প্রথম ভাগ.pdf/৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূমিকা। গী মপেক্ষ পদ্য পড়িতে বালক বালিকার অধিক ভালবাসে । তাহার এমনি পদ্য প্রিয়, যে ভালমন্দ যত কবিতা দেখিতে পায়, তত্তাবৎ একেবারে কণ্ঠস্থ করিয়। ফেলে। মুতরাং মুশিক্ষাদায়িনী সারবতী অত্যুৎকৃষ্ট কবিতামাল৷ গুম্ফন করত তাহদের গলদেশে দোলায়মান করিয়া দেওয়৷ অতি আবশ্যক । অধুনা বিদ্যালয় সকলে যে সমস্ত পদ্যময় পুস্তক প্রচলিত আছে, তাহার অনেকগুলিন কবিতা আসার, ভদ্বারা বালক বালিকাগণের চরিত্রগত দোষ সংশোধনের অথবা কোন বিশেষ শিক্ষা লাভের সম্ভাবনা নাই । বিশেষতঃ ঐ সকল পুস্তক প্রায় দ্বাদশ বৎসর ব্যাপিয়া চলিয়। আসিতেছে । বহুকাল ব্যাপিয়া অনবরত একই বিষয়ের শিক্ষা দিতে দিতে সারগ্রাহী শিক্ষক মহাশয়ের বীতশ্রদ্ধ হইয়।ছেন এবং অনেক বালক বালিকা ( যাহাদের 'জ্যেষ্ঠ ভ্রাতাদি ঐ সকল পদ্যময় পুস্তক পাঠ সমাপ্ত করিয়াছে, তাহার ) কবিতমালার নবীনতা দর্শন লাভ লালসায় বঞ্চিত থাকা প্রযুক্ত, অধ্যয়ন কালে ক্ষোভ প্রকাশ করিয়া থাকে । এই সকল কারণে কোন দুরদর্শী ডেপুটী ইনস্পেক্টর মহাশয়ের আদেশে ও কোন কোন শিক্ষকের পরামর্শে আমি কবিতাকপলত নাম দিয়া এই পুস্তকখানি সঙ্কলন পূৰ্ব্বক মুদ্রিত করিলাম। কতকগুলিন কবিতা নিজে রচনা করিয়া । দিয়াছি । - অধুনাতন ছাত্ৰগণের পূৰ্ব্বকালের ন্যায় ধৰ্ম্মভীৰুতা, পিতৃভক্তি, মাতৃভক্তি, গুৰুভক্তি, সত্যপ্রতিজ্ঞতা, ইতজ্ঞতা, শৌর্য্যশালিতা ও একতাদি গুণ নাই ; অতীব প্রার্থণীয়