বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:কবিবর ৺ভারতচন্দ্র রায় গুণাকরের জীবন বৃত্তান্ত.djvu/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ R • } স্নান গেন্দলপাড়। নিবাসি y রামেশ্বর মুখোপাধ্যায় মহোদয়ের ভবনে থাকিয়া অণহারাদি করিতে লাগিলেন, প্রতি দিবস প্রাতে ও সন্ধ্যার সময়ে চৌধুরীবাবুর নিকট অগসিয়াণউমেদারি” অর্থাৎ উপাসনা করেন। এই উপসন এবং সদগুণ জন্য উক্ত আশ্রিত জনের প্রতি আশ্রয়দাতার ক্রমশই স্নেহের আধিক্য হইতৃে লাগিল । কোন এক সময় বিশেষে কথোপকথন করিতে করিতে চৌধুরী কহিলেন “ভারত ! আমি তোমাকে ফরাসির ঘরে এখনি একটা কৰ্ম্ম করিয়া দিতে পারি, কিন্তু তাহাতে তোমার কিছুমাত্র মুখোদয় হইবে না, কারণ গুণের গৌরব গোপন থাকিৰে । অামি তোমার নিমিত্ত্বে একটা প্রধান উপায় স্থির করিয়াছি, নবদ্বীপের অধিরাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের সহিত অণমার বিশেষ বন্ধুত্ব আছে, তিনি দুই চারি লক্ষ টাক কৰ্ত্ত করিবার নিমিত্ত মধ্যে মধ্যে আমার নিকট আসিয়া থাকেন, তিনি এবারে যখন আসিবেন, তখন আমি তোমাকে তাহার নিকট সমর্পণ করিয়া দিব, তুমি যেমন গুণি ব্যক্তি, তিনি সেইৰূপ গুণগ্রাহক, সেই স্থান তোমার পক্ষে যথার্থৰূপ উপযুক্ত স্থান বটে, এই বচনে ভারতচন্দ্র বারিদ-বদন-বিনিগত-বারিবিন্দু পতন-প্রত্য+ শী চাতকের ন্যায় মহারাজের আগমনের প্রতি প্রতিক্ষণ প্রতীক্ষণ করিতে লাগিলেন, এক দিবস প্রাতে তিনি চৌধুরীর সভায় বসিয়া আছেন, এমত কালে দৈবাৎ পণতঃস্মরণীয় মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায় তথায় শুভাগমন করিলেন। চৌধুরী মহাশয় গাত্রোথান পুৰ্ব্বক যথাযোগ্য