পাতা:কবিবর ৺ভারতচন্দ্র রায় গুণাকরের জীবন বৃত্তান্ত.djvu/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ ৩৪ } নগর-রাজের নিকট অনেক আপত্তি উপস্থিত করিলেন, রাজা কহিলেন “বৰ্দ্ধমানেশ্বর যখন আমার অধিকারে বাস করিলেন, তখন আমার কত অাহাঙ্গ বিবেচনা কর, এবং পত্তনির নিমিত্ত যখন রাণী স্বয়ং পত্র লিখিয়াছেন তখন উiহার সন্মান ও অনুরোধ রক্ষা করা অগ্রেই উচিত হইতেছে, ভারত বলিলেন “এৰূপ হইলে আমার এ গ্রামে বাস করা কৰ্ত্তব্য হয় না, রাজা তাহাকে কছিলেন “যদি মুলাষোড়ে থাকিতে নিতান্তই ইচ্ছা না হয়, তবে আনরপুরের অন্তঃপাতি “গুস্তে , নামক গ্রামে গিয়া বসতি কর ।, এই বলিয় তাহার সন্তোষের নিমিত্ত আনরপুরের গুস্তে বাসি মুখোপাধ্যায়দিগের বাটীর নিকট ১০৫) বিঘা এবং মুলাযোড়ে ১৬) বিঘ ভূমি এককালে স্বত্ব পরিত্যাগ পুৰ্ব্বক বৃক্ষত্ৰৰূপে প্রদান করিলেন । রায় গুণাকর এই নিষ্কর ভূমি প্রাপ্ত হইয়া মুলাষোড় পরিত্যাগ পূর্বক গুন্তে গ্রামে গমন করণের উদ্যোগ করিলে গ্রামস্থ সমস্ত লোক বিস্তর অনুরোধ করিয়া কহিলেন । “মহাশয়, কোনমতেই আমারদিগ্যে ত্যাগ করিয়া যাইতে পরিবেন না, আপনি গমন করিলে মুলাযোড় অন্ধকার হইবে , এই অনুরোধে বাধ্য হইয়। তিনি আমরপুরে গমন করিলেন না, মুলাষোড়েই বাস করিয়া রছিলেন। রামদেব নাগ পত্তনিদার হইয়া ভারতচন্দের প্রতি ও আর আর লোকের উপর দৌরাত্ম্য করতে রায় কবিবর ক্রোধাধীন হইয়া বিশেষ পাণ্ডিত্য ও কবিত্ব প্রকাশ পুৰ্ব্বক কৌতুকচ্ছলে সংস্কৃত কবিতায় “নাগাষ্টক, রচনা