পাতা:কমললতা - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মেয়েরা ওরা এটাও ভয় করে না, ওটাও এড়াতে চায় না ; কিন্তু তিমি বনবাবে কি করে ? किछझे यदि ना बदि श्राभाक दलाई वा कम ? না বলেও যে থাকতে পারি। নে গো । প্রেমের বাস্তবতা নিয়ে দেন্তমবা পরিষের দল যখন বড়াই করতে থাকে, তখন ভাবি আমাদের জাত যে আলাদা । তোমাদের ও আমাদের ভালোবাসার প্রকৃতিই যে বিভিন্ন । তোমরা চাও বিস্তার, আমরা চাই গভীরতা ; তোমরা চাও উল্লাস, আমরা চাই শান্তি। জানো গোঁসাই, ভালোবাসার নেশকে আমরা অন্তরে ভয় করি ; ওর মত্ততায় আমাদের বকের কপিন থামে না । কি একটা প্রশ্ন করিতে যাইতেছিলাম, কিন্তু সে গ্রাহ্যই করিল না, ভাবের আবেগে বলিতে লাগিল, ও আমাদের সত্যিও নয়, আমাদের আপনিও নয়। ওর ছাটােছটির চশীলতা যেদিন থামে, সেই দিনেই কেবল আমরা নিঃশবাস ফেলে বাঁচি ! ওগো নািতনগোঁসাই, নিভাির হতে পারার চেয়ে ভালোবাসার বড় পাওয়া মেয়েদের আর নেই, কিন্তু ঐ জিনিসটিই যে তোমার কাছে কেউ কখনো পাবে না । জিজ্ঞাসা করিলাম, পাবে না নিশ্চয় জানো ? বৈষ্ণবী বলিল, নিশ্চয়ই জানি । তাই তোমার বড়াই আমার সােয় না । আশ্চর্য হইলাম। বলিলাম, বড়াই ত তোমার কাছে কখনো করি নি। কমললতা ? সে কহিল, জেনে করো নি, কিন্তু তোমার ঐ উদাসীন বৈরাগীর মন-ওর চেয়ে বড় অহংকারী জগতে আর কিছু আছে নাকি ! কিন্তু এই দটাে দিনের মধ্যে আমাকে এত তুমি জানলে কি ক’রে ? জানলাম তোমাকে ভালোবেসেছি বলে । শনিয়া মনে মনে বলিলাম, তোমার দঃখ আর চোখের জলের প্রভেদটা এতক্ষণে বাঝতে পেরেছি, কমললতা । অবিশ্রাম ভাবের পজো আর রসের আরাধনার বোধ করি এমনি পরিণামই ঘটে । প্রশ্ন করিলাম, ভালোবেসেছে একি সত্যি, কমললতা ? হাঁ সত্যি । কিন্তু তোমার জপতপ, তোমার কীন্তন, তোমার রাত্ৰিদিনের ঠাকুরসেবা এ সবের কি হবে বলে তা ? বৈষ্ণবী কহিল, এই আমার আরও সত্যি, আরও সার্থক হয়ে উঠবে। চলো না। গোঁসাই, সব ফেলে দাজনে পথে পথে বেরিয়ে পড়ি ? ঘাড় নাড়িয়া বলিলাম, সে হয় না। কমললতা, কাল আমি চলে যাচ্ছি ; কিন্তু যাবার আগে গহরের কথাটা একটু জেনে যেতে ইচ্ছে করে । বৈষ্ণবী নিঃশবাস ফেলিয়া শািন্ধ বলিল, গহরের কথা ? না, সে শনে তোমার কাজ নেই ; কিন্তু সত্যিই কি কাল যাবে ? হ্যাঁ, সত্যিই কাল যাবো । বৈষ্ণবী মহন্তকাল স্তন্ধ থাকিয়া বলিল, কিন্তু এ আশ্রমে আবার যখন তািম আসবে তখন কিন্তু কমললতাকে আর খাঁজে পাবে না গোঁসাই। R