এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৩৮
কমলাকান্তের জোবানবন্দী।
কমলাকান্ত বলিল, “তোমার দুধ দই চিনি না, এমন কথা ত বলতেছি না—তোমার দুধ দই বিলক্ষণ চিনি। যখনই দেখি এক পোওয়া দুধে তিন পোওয়া জল, তখনই চিনিতে পারি যে, এ প্রসন্ন গোয়ালীর দুধ; যখনই দেখতে পাই যে, ঘোলের চেয়ে দই ফিঁকে, তখনই চিনিতে পারি যে, এ প্রসন্নময়ীর দধি। তোমার দুধ দই চিনিনে?
প্রসন্ন নথ ঘূরাইয়া বলিল, “আমার দুধ দই চেন, আর আমায় চিনিতে পার না?”
কমলাকান্ত বলিল, “মেয়েমানুষকে কে কবে চিনিতে পেরেছে, দিদি? বিশেষ, গোয়ালার মেয়ের কাঁকালে যদি দুধের কেঁড়ে থাকিল, তবে কার বাপের সাধ্য তাকে চিনে উঠে?”
উকীল তখন আবার সওয়াল করিতে লাগিল, “বুঝা গেল; তুমি বাদিনীকে চেন—উহার সঙ্গে তোমার কোন সম্বন্ধ আছে?”
কমলা। মন্দ নয়—এত গুণ না থাকিলে কি উকীল হয়।
উকীল। তুমি আমার কি গুণ দেখিলে?