পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কমলা র্তাকে ব’লে যাব ; আর আমি যে জন্মের মত সংসার ছেড়ে যাচ্ছি সে কথাটারও একটু আভাস দিয়ে যাব। ম’রে গেছি শুনলে আর তিনি অন্য রকম কিছু মনে ক’রতে পারবেন না।” নীলকমল। এই কথা -তা তার জন্যে আর তাকে লেখবার দরকার কি ?--তুমি সে সব কাগজপত্র চূড়ামণির হাতে দিয়ে এখনই, আমাকে পাঠিয়ে দাও গিয়ে। আমি সে সব বন্দোবস্তের ভার নিচ্ছি, যা দিতে হয় দেব। আর তোমার অকস্মাৎ মৃত্যুর কথাও আমি কালই দেশময় প্রচার কারাব । তা হ’লে হবে তা ? কমলা ঘাড় একটু হেলাইয়া সম্মতি প্ৰকাশ করিল। বিদায়ের সময়ে পুনৰ্বার দেবতার উদ্দেশে প্ৰণাম করিয়া সজলনেত্ৰে মনে মনে বলিল, শঙ্কর! তুমি জেনে রইলে আমি ইচ্ছে ক’রে তার অবাধ্য হচ্ছি না। — মঙ্গলময় ! এতেই যেন সবার মঙ্গল হয় -তিনি সুখী হ’তে পারেন।” 肇 蜂 崇 柴 মধ্যাহ্নে কমলা স্বামীর সঙ্গিনী হইয়া গৃহত্যাগের জন্য প্ৰস্তুত হইতেছিল, অপরাহে তাহাকে স্বামিসঙ্গের আশা ত্যাগ করিয়া প্রবাসে বন্দিনী হইতে যাইবার জন্য প্ৰস্তুত হইতে হইল। ইহাতে সঙ্গে লইয়া যাইবার মত কিছুই দেখিতে পাইল না। ষে জিনিষগুলিকে তত পরিশ্রম করিয়া তত যত্নে গুছাইতেছিল, সেইগুলির দিকে চাহিয়া একটা দীর্ঘশ্বাস ত্যাগ করিল এবং তোরঙ্গ খুলিয়া মোটা দেখিয়া দুইখানি পরণের কাপড় বাছিয়া লইয়া নিজের গামছাতে বাধিয়া এক স্থানে লুকাইয়া রাখিয়া দিল। কমলার একটি শুকপক্ষী ছিল তাহ পূর্বেই কথিত হইয়াছে। সেটি তাহার শৈশবের সঙ্গী। তিৰ্য্যকুচিত্তের প্রীতিপ্রবণতা কত তাহা বলা যায় না ; কিন্তু স্বাধীন পক্ষীকেও এই পরাধীনতাটা, এতই ভাল । S&O