পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/১৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কমলা । ব্রাত্রির কনকনে বাতাস তাহার পাতলা ছোড়া কাপড় ভেদ করিয়া গায়ে যেন বরফ ঢালিয়া দিতেছিল। দেহ অবসন্ন হইয়া পড়িতেছিল। সে ফিরিয়া আবার একটা বাড়ীর উদ্দেশে চলিল । পথের ধারেই একটা দোতলা বাড়ীর উপরঘরের সার্সি অ্যাটা জানাল দিয়া উজ্জল আলো দেখা যাইতেছিল । তাহার ভিতরে হারমোনিয়মের সঙ্গে সুর মিলাইয়া বামাকণ্ঠে কে গাহিতেছিল,- “ভুলি যদি মনে করি, আধার নেহারি ধৱা ।” নীচের দরজাটা একটু খুলিয়া রাখিয়া পাশে একটা আগুনের মালসী লইয়া একজন বেহার বসিয়া থেলো হুকায় কড়া তামাক টানিতেছিল। আর মাঝে মাঝে খুব কাসিতেছিল । शैज्ञांकांढ्या ५८झे दांऊंौद्भ সম্মুখে আসিয়া থামিল । লোকে অশুচিবস্ত্ৰে সোপানৎকপদে দেবায়তনে প্রবেশ করিতে যেমন সঙ্কুচিত হইয়া থাকে, সে মলিনবিস্ত্ৰে নগ্নপদে সেই গৃহে প্ৰবেশ করিতেও সেইরূপ সঙ্কোচ বোধ করিতেছিল ; কিছুক্ষণ ইতস্ততঃ করিয়া শেষে দরজাটা ধীরে ধীরে একটু ফাঁক করিয়া ভিতরে ঢুকিয়া পড়িল এবং রাত্রিটা সেইখানে থাকিবার অনুমতি আনিবার জন্য বোহারাকে উপরে পাঠাইয়া আপনি আগুনের মালসাঁটা অধিকার করিয়া বসিয়া পড়িল। । বাহিরের বাতাসে বহুক্ষণ। ঘুরিয়া হীরালালের হাত পা সব যেন অবশ্য ও অচল হইয়া পড়িয়াছিল। ঘরের ভিতরে আগুনটার কাছে <সিয়া সে বেশ একটু আরাম বোধ করিতেছিল এমন সময়ে বেহার নামিয়া আসিয়া বলিল, “না। বাবু, আপনি বেরিয়ে যান!” । অতি কষ্টে মাটি ধরিয়া উঠিয়া হীরালাল আবার পথে বাহির হইল । কিছু দূরে আসিয়া “ফুটুপাথে”র উপরে একটা বারান্দার আশ্রয় পাইয়া [ ३४०