পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/১৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কমলা আমি ডুবেছি ডুবেছি, সংসারপাথারে, , উঠিতে পারি না নিজ বলে ; যতই উঠিতে যাই, ততই ডুবিয়া যাই, তুমি আমায় তোল করে ধ’রে ” হীরালাল তন্ময় হইয়া শুনিতেছিল, আর শুনিতে শুনিতে ভাবিতেছিল,-ভ্ৰান্ত হইলেও সংসার-পাথরে শক্তিমান কোন করুণাময় মহাপুরুষের দয়ার উপরে এই বিশ্বাস ও নির্ভর কিন্তু বড়ই মধুর!— সেই সময়ে পথিক খুব নিকটে আসিয়া গাহিল,- “বড় শ্ৰান্ত হ’য়ে তোমারে ডাকি, অবসন্ন হ’তেছে যে প্ৰাণ, সঁত্যারি, শকতি নাই, স্রোতেতে ভাসিয়া যাই, . . ধরিবার নাই তৃণখান। আমার আশা। ভরসা, কিছুই নাই। আর, তুমি যদি রােখ তবে থাকি, . বল আর কোথা যাই, এ দুঃখ কারে জানাই, তোমা বিনা আর কারে ডাকি ?” হীরালালের হৃদয়যন্ত্রেও আজ ঠিক এই ভাবের একটা সুর বাজিয়! উঠিতেছিল, কিন্তু সে তাহা গাহিবার ভাষা খুজিয়া পাইতেছিল না। সে মাথা তুলিয়া উৎকৰ্ণ, উদগ্রীব ও মুগ্ধ হইয়া শুনিতে লাগিল, পথিক অনেকটা দূরে চলিয়া গিয়া গাহিতেছে :- , - । “তোমার পতিতপাবন নামের গুণে, কত পাপী হইল উদ্ধার, এ পাতকী অধমে, তার হে নিজ গুণে, জয় জয় হউক তোমার!”. . ' }, দূরপ্রস্থিত পথিকের বিলীয়মান, মধুর . কণ্ঠস্বর নিশাচৰ কোন م. ངོ་8 J