পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/২২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কি কমলা চিন্তা করিয়া বলিলেন, “ঠিক ব’লছেন?--আপনার নাম যা বললেন उाझे ?” সুধাংশু। বেঠিক ব’লে লাভটা কি ?—কিছু না ব’ললেই বা আপনি কি ক’রছেন ? কৃষ্ণ । আপনার নিবাস ? a “এই রকম একটি একটি ক’রে আপনি কতবার কতকথা জিগগেস ক’রবেন, আমিই সব বলছি” বলিয়া সুধাংশু অকপটে নিজের সমস্ত পরিচয় ও ভ্রমণের উদ্দেশ্য প্ৰকাশ করিয়া বলিল, “তার পর—সেই পত্র পেয়ে, বাড়ী ফিরে গিয়ে, সেই পাপ বামুণটাকে ধ’রে নিয়ে এখানে এলুম ; এসে দেখি, তারা যে বাড়ীতে থাকতেন, সে বাড়ী বন্ধ। অনুসন্ধানে জানা গেল, তারা সে বাড়ী থেকে উঠে গেছেন। সেই থেকে আমি এইখানেই তার সন্ধান ক’রে বেড়াচ্ছি। পুণ্যধৰ্ম্মে তার বড় অনুরাগ ব’লে গঙ্গার ঘাটে আর দেবতার মন্দিরেই আমি তার বেশী খোজ করি। সকাল থেকে যতক্ষণ স্নানের সময় অতীত না হয়, এইরকম ক’রে এক একদিন এক, একটা ঘাটে ব’সে থাকি,-কখন হয় ত তিন চারিদিন এক ঘাটেই ব’সে থাকি, তার পরে বাসায়গ্নিয়ে, যা হয় ভাতেভাত দুটি রোধে খেয়েই আবার বেরুই। তখন আর ঘাটে ঘাটে নয়, পথে পথে ;-পথের ধারে যতগুলি বাড়ীর দোর খোলা পাই, উকি দিয়ে দেখতে চেষ্টা করি, যদি লোক দেখতে প্রাই, জিগগোসা ক’রে জানতে চেষ্টা ক্ররি। - সন্ধ্যের সময় বিশ্বেশ্বরের আরতিশেষ পৰ্য্যন্ত মন্দিরের পথে দাঁড়িয়ে থাকি, সেই পথে যারা যাতায়াত করেন, তাদের দেখি, দেখবার সুবিধে না হ’লেও কথা শুনতে চেষ্টা করি। এই রকম ক’রে কাশীর অনেকটা প্লোজা হ’য়েছে, বাকীটাও খুজে দেখব। কাশীতে যদি &