পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कभव्॥ সুধাংশু হাসিয়া বলিল, “পথ্যের ব্যাবস্থাটা যাতে বেশ মুখরোচক, সে ব্যারামটাও বোধ হয় আরামের ব’লে মনে হয়!”-তারপর একটু থামিয়া গম্ভীরভাবে বলিল, “না-দাদা ! তোমার শপথ ক’রে ব’লতে পারি, আমি আপনাকে একটুও অসুখী মনে করি না। অপূর্ণতাও জীবনে কিছু বুঝতে পারি না ; আমি এ বেশ আছি।” বি। এমন ‘বেশ’ কি বেশী দিন থাকতে পারবি মনে করিস ? সু। পারব না কি জন্যে ? বি । ফুলের জীবনে যেমন একটা সময় আসে যখন তার হৃদয় আপনা ই’তেই মধু ও গন্ধের আধার হ’য়ে ওঠে, মানুষের জীবনেও ঠিক তেমনি একটা সময় আসে, যখন স্বী কি পুরুষ কেউই আপনাতে আপনাকে সম্পূর্ণ মনে ক’রতে পারে না । তখন সবারই মনে হয়, জীবনটা যেন আধখানাতার আর আধখানা আর কোথাও প’ড়ে আছে। সেই আধখানার জন্যে এমনি একটা ব্যাকুলত উপস্থিত হয় যে, যতক্ষণ মিলন না ঘটে ততক্ষণ কিছুতেই মন শান্ত হয় না। মিলনের জন্যে অন্তরের সেই যে ব্যাকুলতা, তারই নাম প্ৰণয় ; আর মিলিত হওয়ার নাম বিবাহ। প্রণয় অন্তরের ধৰ্ম্ম, বিবাহটা বাহ্যিক আচার-সামাজিক প্ৰথা। অন্তরের ধৰ্ম্মকে আচারপূত করা - শাস্ত্ৰ অথবা সমাজসম্মত পথে প্রবত্তিত করাই বিবাহ । সু। তা হবে! আমাদের । কিন্তু বিবাহটািই আগে, যদি ঘটে ত প্রণয়টা তার পরে—নয় কি ? আচ্ছা-মধুর সঞ্চার হ’লে তার পরেই ত মৌমাছির সঙ্গে ফুলের বিয়ে হয়, দাদা ! আমাদের সমাজে। তবে এত তাড়াতাড়ি কেন ? ফুল ফোটা দূরে থােক-মুকুলের পাশে মৌমাছির ডিম ছেড়ে রাখার ব্যাবস্থাটা কেন ব’লতে পাের ? বি। ২ আমাদের প্রণয় আর বিবাহের ক্রমটা বিপরীত [ રsિ