পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কমলা

  • ন্যাই আবার তাহার বিপুল সম্পত্তির একমাত্র উত্তরাধিকারিণী। কাতায়নী একঝাঁর পুত্রবধূর রূপ খুজিয়া ঠেকিয়াছেন, এবার তিনি আর ‘কালে কুচ্ছিত’ বলিয়া আপত্তি করেন নাই। কথাবাৰ্ত্তা সবই স্থির হইয়া গিয়াছে, বাকী শুধু পাকা দেখা।

বিরাজ বাড়ী আসিয়াই তাহদের পুরাতন ও প্রাচীন কৰ্ম্মচারী রায় মহাশয়ের দ্বারা পিতাকে পুনর্বার দারপরিগ্রহে নিজের অনিচ্ছা জানাইল । নীলকমল সে কথা শুনিয়াই বিরাজকে ডাকাইয়া রোষবিম্বফারিতনেত্ৰে জিজ্ঞাসা করিলেন, “হঁ্যা হে, তুমি না কি আর বিবাহ ক’রবে না ব’লেছ ?” বিরাজ কোন উত্তর করিতে পারিল না, অধোমুখে নীরবে দাড়াইয়া বহিল। নীলকমল বলিলেন, “তা বেশ, তুমি সেই প্ৰবাদদুষ্টা পত্নীকে নিয়েই সংসার কর । আমাদের সঙ্গে আর কোন সম্বন্ধ রাখবার দরকার নেই। লেখা পড়া শিখেছি-মানুষ হ’য়েছ, এখন আর বাপ মাকে দরকার কি ?” বিরাজ বিনয় বচনে পিতাকে প্ৰসন্ন করিবার চেষ্টা করিল। নীলকমল সে সব কথায় কৰ্ণপাত করিলেন না ; তীব্রস্বরে বলিলেন, “যাও! স্বাও ! যুক্তি তর্ক আদালতে দেখাও গে ! ভদ্রলোককে কথা দিয়েছি।-- যদি আমাদের চাও, সে স্বেচ্ছাচারিণীকে ত্যাগ ক’রে আবার বে কর! নচেৎ আমার বাড়ী থেকে দূর হ’য়ে যাও!—অবাধ্য খুত্রের মুখ দেখতে 5ांझे न ।।” তিনি রাগে থর থর করিয়া কঁাপিতে কঁাপিতে উঠিয়া গেলেন। ধিরাজ কাষ্ঠবৎ হইয়া সেই স্থানে অধোমুখে দাড়াইয়া ভাবিতে লাগিল, তাহার কৰ্ত্তব্য কি-ধৰ্ম্মপত্নীকেই অকারণে ত্যাগ করিবে, অথবা পত্নীর প্রতি স্বামীর, ধৰ্ম্ম পালন করিবার জন্য পিতা মাতার প্রতি সন্তানের نیb }