পাতা:কমলা - তারকনাথ বিশ্বাস.pdf/৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3. কমলা । রামধনের বয়ঃক্রম অনুনি পঞ্চাশংবর্ষ, দেখিতে খৰ্ব্বাকৃতি— গৌরবর্ণ। তাছার স্ত্রীর নাম শুমমোহিনী, শ্বামমোহিনীর বয়ঃক্রমও চত্বারিংশ বর্ষের মুনি নছে। তাছাকে দেখিলে অস্তুতঃ চল্লিশ অপেক্ষ পাঁচ ছয় বৎসর নুন্নবয়স্ক বলিয়া বোধ হয় । আমরা শ্বামমোহিনীর রূপ সম্বন্ধে অধিক কথা উল্লেখ করিতে ইচ্ছা করি না, বাঙ্গালি রমণীগণের যৌবন আজ কাল অতি অল্পবয়স হইতে হ্রাস হইতে আরম্ভ হয়, সে সম্বন্ধে চত্বারিংশবীয় শ্বামমোহিনীর আর রূপের কথা কি বলিব ? বাছাই হউক, এ বয়সে যদিও যৌবনের সে মধুময় লাবণ্য নাই, সে মনমুগ্ধকরা মোহিনী শক্তি নাই, তথাপি শ্যামমোহিনীর অঙ্গে এখনও সে পূৰ্ব্ব সৌন্দর্ঘ্যের চিন্ত্রগুলি রহিয়াছে। বুঝি সে চিন্ত্র গুলি যাইয়াও যায় না, ভুলিয়াও ভুলে না, যাহাই হউক, ীেবনকালে শ্যামমোহিনী যে অত্যন্ত মুন্দরী ছিলেন, তাছাতে সন্দেছ নাই। আমাদের বর্ণিত দম্পতি-প্রণয়ণুপ একটমাত্র ফলে পরিণত হইয়াছিল। শ্যামমোহিনীকে সকলেই বন্ধা বলিয়া জানিম্ভ, পরে অনেক বয়সে অনেক দেবদেবীর আরাধনায় এবং সন্তান উদ্দেশে অনেকপ্রকার দৈবামুষ্ঠানে,—দৈবামুগ্ৰছে কি না তাই আমরা জানি না,—শ্বামমোহিনী একটী কস্তারত্ব লাভ করিলেন, কস্যাটীর নাম কমলা, কমলা বহুদিন সম্ভান