পাতা:কমলা - তারকনাথ বিশ্বাস.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(૨ কমলা । মোহিনী বুঝিলেন কমলার গর্ভ হয় নাই, কিন্তু লোকে তাহা বিশ্বাস করিল না । ঈশ্বরেন্থার কমলার ব্যাধি কমিতে লাগিল গৰ্ভলক্ষণের স্থায় যে সকল বাহ্যিক চিন্তু দেখা গিয়াছিল, তাছ ত্তিরে থান হইল । রামধন সকলকে বলিলেন “ দেখ কমলার পীড়া আরোগ্য হইয়াছে ” লোকে উপস্থাস করিয়া কছিল “ হারাণী বৈদ্য থাকিতে পীড়া আরোগ্যের ভাবনা কি ? ” রামধনের মস্তক হেঁট হইল, সকলে উচ্চ হাস্য করিয়া কত বিদ্রেপ আরম্ভ করিল, কেহব বলিল “ এই সময় পুলিসে সংবাদ দাও ” ইত্যাদি। রামানকে কেছ আর হুক দেয় না, কেহ নিমন্ত্রণ করে না। রামধন প্রতিবৎসর মহামায়ার পূজা করিতেন, এ বৎসর সমস্ত আয়োজন হইল। কিন্তু পুরহিত পূজা করিল না, ক্রমে নাপিত ধোপা পৰ্য্যন্ত বন্ধ হইল। রামধন অনন্ত্যেপায় হুইয়া কস্তাকে ভাগ করিতে বাধ্য হইলেন । শ্যামমোহিনীকে মনের কথা বলিলেন, শ্যামমোহিনী কমলার জন্য চীৎকার করিয়া কাদিতে লাগিলেন। অবশেষে রামধন কমলাকে কাদিতে কঁাদিতে বলিলেন “ মা কমলা, তোমার জন্ত আমার মুখ দেখান ভার, সমাজ চক্রে পড়ে আমায় একঘরে হতে হচ্চে, আর সন্থ হয় না। মা তুমি অন্য কোথাও বাস করগে, আমি