পাতা:করিম সেখ - জলধর সেন.pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Vo করিম সেখ এতদিন কাউকেও বলি নাই, আজ তোমাকে বলছি। আমার হাতে কিছু টাকা আছে ; বিপদ আপদে দরকার হতে পারে ব’লে এত দিন লুকিয়ে রেখেছিলেম। এখন সেই টাকাই খরচ কোরব ; তাতেই কিছুদিন চলে যাবে। সে জন্য তুমি কিছু ভেব না। যে কয়দিন চলে চলুক, তারপর আল্লার মনে যা থাকে তাই হবে। তুমি গহনাখানা তুলে রাখা গে।” বলা বাহুল্য বৌকে প্ৰতারিত করিবার জন্য বুড়ী এই মিথ্যা কথাটা বলিল। আমরা বেশ জানি তাহার হাতে তখন তেরগণ্ডা পয়সা ছাড়া আর কিছুই ছিল না। বৌ শাশুড়ীর কথায় বিশ্বাস করিল। সে মনে করিল, এতকালের বুড়ীর হাতে দুন্দশ টাকা থাকা আশ্চর্য্যের বিষয় নহে। তাই সে বলিল, “তা এখন তোমার টাকাতেই চলুক, তার পর যখন তোমার হাতের টাকা ফুরিয়ে যাবে তখন গহনা বেচলেই হবে।” & দেখিতে দেখিতে চারি মাস চলিয়া গেল। বসিরের স্ত্রী একটা পুত্রসন্তান প্রসব করিল। এখন করিম প্রতিদিনই দুইবার তিনবার বসিরের বাড়ীতে আসে ; আবশ্যক দ্রব্যাদি কিনিয়া দিয়া যায় ; দুইমাসের ছেলেটকে আদর করে ; আকারণে বিলম্ব করে ; বসিরের মাতার সহিত বৃথা কথাবার্তায় সময় কাটায় ; কিন্তু সাহস করিয়া বসিরের স্ত্রীকে কোন কথা বলিতে পারে না। কিন্তু এমন ভাবেই বা কত দিন চলে ? যে রমণীকে লাভ করিবার জন্য সে নরহত্যা, বন্ধুহত্যার পাপে লিপ্ত হইতেও দ্বিধা বোধ করে নাই, সেই রমণী, সেই সুন্দরী যুবতী, তাহারু সম্মুখেই ঘুরিয়া বেড়ায়,