পাতা:করিম সেখ - জলধর সেন.pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ve 3 করিম লেখ ভাত খাঁও ।” তাহার ডাক শুনিয়া ঘসির একবার মাথা তুলিয়া র্তাহার দিকে চাহিল, তাহার পরেই চক্ষু মুদ্রিত করিল, আর মাথা তুলিতে পারিল না। বিপিন বাবু আবার ডাকিলেন “ও বসির, ভাত খাও।” এবার সে আর মাথা তুলিল না, চাহিয়াও দেখিল না। “ বিপিন বাবু তখন তাহার পার্শ্বে যাইয়া বসিলেন। তাহার গায়ে হাত দিয়া দেখেন, শরীর হইতে যেন আগুন ছটিয়া বাহির হইতেছে; নাড়ী পরীক্ষা করিয়া দেখেন প্ৰবল জ্বর আসিয়াছে। তিনি তখন ভীত হইলেন, ডাকিলেন “বাঁসির ও বসির ” বসির উত্তর দিল না, তাহার তখন চেতনা ছিল না । বিপিন বাবু পেয়াদাকে ডাকিলেন । পেয়াদা আসিয়া উপস্থিত হইলে তিনি বলিলেন “দেখ আজম সর্দার, এর খুব জর হ’য়েছে, একেবারে জ্ঞান নেই। তুমি এক কাজ কর। ; এখনই ঘোড়া নিয়ে বাবুঘাটে বাও । সন্ধ্যার মধ্যে ডাক্তার বাবুকে নিয়ে আসা চাই। ডাক্তার বাবুকে বোলো যত টাকা তিনি চান, তাই আমি দেবো ; তঁাকে এখনই আসতে হবে। লোকটাকে অচিকিৎসায় মরতে কিছুতেই দেবো না । যাও, এখনই যাও।” আজম সর্দার বলিল “বাবুজি, ঘোড়া ত কাছারীতে নেই, মুহুরী খাওয়া দাওয়ার পর ঘোড়া নিয়ে আমলাবেড়ে গেছেন ; আজ যে আসতে পারেন তা বোধ হয় না।” এই কথা শুনিয়া বিপিন বাবু যেন একটু বিরক্ত হইলেন। তিনি তখন বড়ই ভাবনায় পড়িলেন। তাঁহাকে চিন্তিত দেখিয়া আজম সর্দার বলিল “বাবুজি, এই জয় হােলো ; আজই ডাক্তারের দরকার কি ? ক’ল সকালে জরের রকমটা দেখে বাবুকে খবর দিলেই হবে।” ܐܘ ܨ