পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ ン > > রছিলেন । কিয়ৎক্ষণ পরে একজন সৈনিক আসিয়া, মঙ্গসেনাপতিকে অভিবাদন করিয়া কহিল, “দেব, দিবসের তৃতীয় প্রহর আরম্ভ হইয়াছে।” চমকিত হইয়া অগ্নিগুপ্ত কছিলেন, “ইন্দ্রপালিত, অন্তই যাত্রা করিতে হইবে । সেনা-নিবাসে দূত পাঠাইয়া দা , নগরের সমস্ত অশ্বারোহী সেন অষ্ট্য রাত্রিশেষে জালন্ধর যাত্র কপ্লিবে ।” ইন্দ্রপালিত অভিবাদন করিয়া বিদায় গ্রহণ করিলেন । প্রফুল্লবদনে সমুদ্র গুপ্তের বংশধর, বিশাল গুপ্ত-সাম্রাজ্যের মহাবলাধিকৃত যুবরাজ ভট্টারকপাদায় মহাসেনাপতি অগ্নি গুপ্ত চিরযাত্রার , জন্য প্রস্তুত হইয়া কলত্রের নিকট বিদায় গ্রহণ করিতে চলিলেন । দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ অপুষ্ট চক্র দিবসের দ্বিতীয় প্রহর আরম্ভ হইয়াছে, পাটলিপুত্র নগরের প্রাসাদ । তোরণে মঙ্গলবাদ্য আরম্ভ হইয়াছে | গোবিনের মন্দিরের অন্তরালে করুণাদেবী একাগ্রচিত্তে ইষ্টমন্ত্র জপ করিতেছেন, স্নহস পশ্চাৎ হইতে কে তাহাকে স্পশ করিল। করুণাদেবী বিস্মিতা স্তইয়া চাহিয়া দেখিলেন পশ্চাতে র্তাহার স্বামী দাড়াইয়া আছেন । প্রিয়জন দর্শনে রক্তাভ অধরোষ্ঠে হাস্তের রেখা দেখা দিল। করুণ কহিলেন, “ম্পর্শ করিলে কি বলিয়া ? আমাকে আবার অষ্টোত্তর সহস্রবার জপ করিতে হইবে।” অন্ত দিনে দে ওষ্ঠযুগলে হাস্তরেখা দেখিলে ভালুমিত্রের নয়নযুগল নৃত্য করিয়া