দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ ゞ> ○ কণ্ঠে ভানুমিত্ৰ কহিলেন, “গোবিন্দ সাক্ষী করুণ, সত্য কহিতেছি আবার কবে তোমার মুখখানি দেখিব, বলিতে পারি না। আবার কধে তোমার কুসুমপেলব অধরে ঐ বক্রগতি হাস্তরেখা দেখিব তাহা জানি না।” করুণা ভানুমিত্রের হস্তদ্বয় ধারণ করিয়া কহিলেন, “সত্য যাইতে হইবে ? না কাব্য লিখিবে বলিয়া বিরহের নান্দী পাঠ করিতেছ?” “সত্য বলিতেছি করুণ, সময় নাই । ঐ শুন তোরণে দ্বিতীয় প্রস্তরের মঙ্গলবাদ্য থামিয়া গেল। প্রাসাদে ফিরিয়া চল ।” “কেন ?” “তোমাকে নয়ন ভরিয়া দেখিব বলিয়৷ ” “আমাকে নিতাই দেখিতে পাইবে ; “সে হৃদয়ে— নয়নে ত নহে?” “ওগো তোমার এই আকৰ্ণবিশ্রান্ত নীল নয়নের কৃষ্ণ তারকাযুগল দিয়া ” “করুণ, রহস্য রাখ।” “রহস্য নহে, গোবিন্দের নামে শপথ করিতেছি।” “কি বলিতেছ বুঝিলাম না।” “এই কথাটা বুঝিতে পারিলে না ? লক্ষ সেনা পরিচালনা কর কি প্রকারে ?” “তোমার অনুমতি লইয়া। করুণ, তুমি কি পাগল হইয়াছ ? বিলম্ব হইয়া গেল—প্রাসাদে চল ।” “কিসের বিলম্ব ?” “তোমাকে গৌড়ে পাঠাইবার ব্যবস্থা করিতে হইবে, ঋষভকে ডাকিতে পাঠাইয়াছি।” “আমি গৌড়ে গেলে তবে ত পাঠাইবে ?” “তুমি কি গৌড়ে যাইবে না ?” “না।” “তবে কি পাটলিপুত্রে থাকিবে ?” “তাহাও নহে।” “তবে কি কুলত্যাগ করিবে ?” “করিব।” “কাহার সহিত ?” “এই তোমার সহিত ।” করুণা এই বলিয়া ভালুমিত্রের মুখচুম্বন করিলেন, ভুমুমিত্র লজ্জিত হইয়া কহিলেন, “করুণ, কি করিতেছ? লোকে দেখিলে কি বলিবে ?” “বলিবে যে ভানুমিত্র করুণার জার ”, “করুণ, বিলম্ব হইয়! যাইতেছে, প্রাসাদে চল ” “চল যাইতেছি, আমি রথে যাইব ।” “কোথায় যাইবে ?” “কেন, জালন্ধরে।” “তুমি জালন্ধরে যাইবে কেন ? “তোমার সহিত ” “করুণ, তুমি কি পাগল হইয়াছ ?” “ঠাকুর, সে কথাটি יש
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/১১৯
অবয়ব