পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/১৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> Հ8 করুণা রক্ষী দীপহস্তে নিস্ক্রান্ত হইল এবং অৰ্দ্ধদণ্ড মধ্যে অপর একজন রক্ষীর সহিত ফিরিয়া আসিল । রমণী তাতাকে কহিল, “তোমার সাহায্যে যদি মহাবিহারস্বামী হরিবলকে মুক্ত করিতে পারি, তাহা হইলে তোমাকে দশ সহস্র সুবর্ণ মুদ্র প্রদান করিব।” রক্ষী কঠিল, “তাহ শুনিয়াছি, আমাকে কি করিতে হইবে ?” তুমি মহাবিহারস্বামীকে বলিবে, তিনি যেন তোমার উষ্ণীষ দিয়া তোমার মুখ ও হস্তপদ বন্ধন করেন। তাহার পরে তিনি আমার কক্ষে চলিয়। আসিবেন, আমরা উভয়ে বাতায়ন-পথে পলায়ন করিব । প্রথম ধামের শেষে যখন কারাধ্যক্ষ কক্ষে কক্ষে প্রশ্ন করিবেন, তখন মহাবিsারস্বামীর কক্ষে প্রশ্নের উত্তর না পাইলে, তিনি তোমাদিগের কাহাকে ও অপরাপী স্থির করিতে পরিবেন না ।” প্রথম রক্ষী কহিল, “দেবি, প্রথম যামের শেষে কারাধ্যক্ষ যখন দেখিতে পাইবেন যে মহাবিচারস্বামী পলায়ন করিয়াছেন, তখন তিনি কারাগারের প্রতিকক্ষে তাহার অন্বেষণ করিবেন, তখন আপনার উভয়েই ধৃত হইবেন ।” রমণী রক্ষীর কথা শুনিয়া কিয়ৎক্ষণ অবনত মস্তকে চিন্তা করিল, পরে কহিল, “তুমি এখনই নগরে ফিরিয়া যাও, চন্দ্রসেনকে গিয়া বলিও, সে যেন সত্বর নেীক লইয়। গবাক্ষের নিয়ে আসে । মহাবিহারস্বামীকে আমার কক্ষে আনিয়া তোমার সঙ্গীকে তাহার কক্ষে বন্দী করিয়া রাখিয়া যাও।” এই সময়ে দ্বিতীয় রক্ষী জিজ্ঞাসা করিল, “দেবি, আমার পুরস্কার কোথায় পাইব ?” রমণী কহিল, “তুমি মুক্ত হইয়া কপোতিক সঙ্ঘারামে মহাস্থবির রাহুলভদ্রের সহিত সাক্ষাৎ করিও । আমার এই অঙ্গুরীয়ক লও। রাহুলভদ্রকে ইহা প্রদর্শন করিলে তিনি তোমাকে তৎক্ষণাৎ দশ সহস্ৰ সুবর্ণ মুদ্র প্রদান করিবেন।” রক্ষাদ্বয় অভিবাদন করিয়া প্রস্থান করিল।