ミ●8 করুণা مصعبہ “ইন্দ্রলেখ তোমার কে ?” “তিনি আমার মাতা।” “উত্তম কথা, তোমার পিতা কে ? ফন্তুযশ না চন্দ্রসেন ?” “নটচুড়ামণি ফন্তুযশ আমার পিতা।” "শিবনন্দী, তোমার কৰ্ত্তব্য কি তাহা জান ?” “হঁ, জানি (” “আমি সাম্রাজ্যের যুবরাজভট্টারকপার্দীয় মহানায়ক।” “আমিও মহানায়ক।” “বটে, সাম্রাজ্যের অনেক উন্নতি হইয়াছে দেখিতেছি । তথাপি আমি তোমার প্রভু, প্রভুকে অভিবাদন করিতে হয় একথা কি কেছ তোমাকে বলিয়াছিল ?” যুবক লজ্জীয় রক্তবর্ণ তইয়া উঠিল, সে কটিদেশে হস্তার্পণ করিয়া দেখিল কটিবন্ধ বা আসি নাই । তখন সে অধো বদন হইয়া মহামন্ত্রীকে কহিল, “দেব, ভুলিয়া অসিখান গৃহে ফেলিয়া আসিয়াছি।” মহামন্ত্রীর উচ্চহাস্তে সভামণ্ডল মুখরিত হইয়া উঠিল, দামোদর শৰ্ম্ম বলিয়া উঠিলেন, “সাধু শিবনী, তুমি কৃষ্ণগুপ্তের উপযুক্ত উত্তরাধিকারী। ফন্তুযশ নগরে ক্ষৌরকার ছিল,অসিখানি পিতৃ-ব্যবসায়ে ব্যবহার করিও, সাম্রাজ্যের কার্য্যে মহাপ্রতীহারকে আল্প অসিধারণ করিতে হইবে না ।” সেই সময়ে তোরণে তুর্য্যধ্বনি হইল, সম্রাট ও নুতন পট্টমহাদেবী শিবিকায় আরোহণ করিয়া মণ্ডপের তোরণে উপস্থিত হইলেন। সভাসদগণ আসন ত্যাগ করিল, তোরণে মঙ্গলধ্বনি হুইল, বৈতালিকগণ স্তোত্র পাঠ করিল, মহাপ্রতীহার অভিবাদন করিলেন, সম্রাট ও মহাদেবী মণ্ডপে প্রবেশ করিলেন। দামোদর শম্মী বেদিকার উপর দাড়াইয়া কহিলেন, “মহারাজাধিরাজ স্বাগত ” সহসা পরমেশ্বর পরমমাঙ্কেশ্বর পরমবৈষ্ণব মহারাজাধিরাজ পরমভট্টারক কুমারগুপ্ত বজাছতের ন্তায় স্তম্ভিত হইয়া দাড়াইলেন। সভাসদগণ বিস্মিত হইল, পট্টমহাদেবী সম্রাটের মুখের দিকে চাহিলেন । তিনি দেখিলেন, বৃদ্ধ সম্রাটেয় মুখ পাণ্ডুবৰ্ণ হইয়া গিয়াছে। বৃদ্ধ পুনরায় কহিলেন, “পুত্র, বহুদিন পরে দেশে ফিরিয়াছি, অগ্রসর হও, গুপ্তবংশের প্রাচীন পরিচারক যথারীতি অভিবাদন করিবে ।” দেবী
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/২১০
অবয়ব