পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/২২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミ>b" করুণা রজনীর তৃতীয় প্রহর অতীত হইলে এক খঞ্জ হস্তচীন রুধিরাপুতদেহ বুদ্ধ, নগণের পথে পথে কাগর সন্ধান করিয়া বেড়াইতেছিল। পুরুমপুরে নাগরিকগণ নিহত হইয়াছিল, পিতৃহীন, ভর্তৃহীন, পুত্রচীনা, হৃতসৰ্ব্বস্ব রমণীগণ পথে পথে রোদন করিয়া বেড়াইতেছিল। বৃদ্ধ থঞ্জ একে একে সকলের মুখ নিরীক্ষণ করিতেছিল কিন্তু সে যাঙ্গর অন্বেষণ করিতেছিল তাঙ্গকে পাচতেছিল না । সে ধীরে ধীরে নগরের রাজপথ পরিত্যাগ করিয়া কেন্দ্রস্থিত প্রান্তরে আসিয়া উপস্তিত হইল। হণসেনা তখন নিদি তই ভয়ে নগরবাসী সেস্থানে আসে নাই। বৃদ্ধ দেখিল, অন্ধকারে প্রাস্তরের মধ্যস্থলে বহুমূল আস্তরণের উপরে এক প্রায়বিবসনা তরুণী বসিয়া আছে। বৃদ্ধ দূর হইতে জিজ্ঞাসা করিল, “কে ?” উত্তর ट्राइन, “আমি মা ।” তাহার কণ্ঠস্বর শুনিয়া বৃদ্ধের দেহ রোমাঞ্চিত হইল, বৃদ্ধ তারস্বরে, “ম, মা,” বলিতে বলিতে তরুণীর দিকে অগ্রসর হইল । তরুণীর পাশ্বে সেই বৃদ্ধ হণ নিদ্রা পরিত্যাগ করিয়া বসিয়াছিল, সে ভারতীয় ভাষায় জিজ্ঞাসা করিল, “তুই কে ?” বৃদ্ধ উত্তর না দিয়া তরুণীর পদপ্রান্তে লুষ্ঠিত হইল । هت পঞ্চম পরিচ্ছেদ অনঙঘণৱণমে রাষ্ট্র নীতি নবীন পট্টমহাদেবী অনন্ত প্রাচীন গুপ্তসাম্রাজ্যের অতি প্রাচীনতর আর্য্যপটে আসন গ্রহণ করিলে, পাটলিপুত্র নগরের অতি প্রাচীন কপোতিক সঙ্ঘারাম সহসা সমৃদ্ধ হইয়া উঠিয়াছিল এবং প্রবীণ মহাবিহারস্বামী সহসা