こめ 8 করুণা আদেশ আপনাকে এখনই কারাগারে নিক্ষেপ করিতে হইবে।” “পটুমহাদেবীকে কচি ও গুপ্তসাম্রাজ্যে রাষ্ট্রনীতি বিরুদ্ধ আদেশ প্রতিপালিত হয় না।” “পট্টমহাদেবী আদেশ করিয়াছেন যে আপনি আত্মসমর্পণ না করিলে আপনাকে বলপূৰ্ব্বক কারাগারে আবদ্ধ করিতে হইবে।” “সাবধান শোণ্ডিকপুত্র, পশ্চাতে বক্ষু ও শতদ্রু-তীরের সাদ্ধদ্বিশত বীর অপেক্ষা করিতেছে, বলপ্রয়োগের উদ্যম করিলে তোমার দেহু শতথণ্ডে বিভক্ত হইয়া জাহ্নবী-জলে মকর-কুম্ভীরের আহার্য্য হইবে।”a দেবধরের উক্তি শেষ হইলে পশ্চাতে সাৰ্দ্ধদ্বিশত অসি কোষে শদিত হইল, বিপদ বুঝির শোণ্ডিক পুত্র অভিবাদনান্তে প্রস্থান করিল। দেবধর অৰ্দ্ধদণ্ডকাল পাষাণ-প্রতিমার ন্যায় স্থির হইয়া দাড়াইয়া রছিলেন, পরে তিনজন সৈনিককে আহবান করিয়া কহিলেন, “প্রিয়নন্দি, তুমি এই কেশগুচ্ছ লহয়া রোহিতাশ্বের অধিপতি মহানায়ক জয়ধবলদেবের আবাসে গমন কর, তাহার কন্যা অমিয়াদেবীর হস্তে ইহা অৰ্পণ করিও ।” দেবধর কণ্ঠস্থিত সুবর্ণ-শৃঙ্খলে আবদ্ধ ভ্রমর-কৃষ্ণ কেশগুচ্ছ লইয়া প্রথম সৈনিকের হস্তে প্রদান করিলেন, সে অভিবাদন করিয়া কক্ষ ত্যাগ করিল। তখন তিনি দক্ষিণ হস্তের অনামিকা হইতে তীরক খচিত অঙ্গুরীয়ক গ্রহণ করিয়া দ্বিতীয় সৈনিকের হস্তে প্রদান করিলেন এবং কহিলেন, “তুমি ইহা মহাকুমার হর্ষগুপ্তের হস্তে প্রদান করিও।” দ্বিতীয় সৈনিক কক্ষ ত্যাগ করিলে, দেবধর কোষ হইতে ভগ্নশর্ষ অসি নিষ্কাসিত করিয়া তাহা তৃতীয় সৈনিকের হস্তে প্রদান করিলেন এবং কহিলেন, “এই অসি শতদ্রু-তীরের বিখ্যাত যুদ্ধে যুবরাজভট্টারক স্কন্দগুপ্ত কর্তৃক ব্যবহৃত হইয়াছিল, যুবরাজ নগরে ফিরিয়া আসিলে ইহা তাহাকে অর্পণ করিও ” সৈনিক বিস্মিত হইয় তাহার মুখের দিকে চাহিয়া রহিল। দেবধর অবশিষ্ট সৈনিকগণকে কহিলেন, “বন্ধুগণ, বিপদে ও সম্পদে বহুদিন ধরিয়া তোমরা আমার সহচর, পুরুষানুক্রমে ধরবংশের
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৩০০
অবয়ব