○○之 করুণা “সদ্ধৰ্ম্মের শত্র বিনাশ হইয়াছে।" “সদ্ধৰ্ম্মের শত্র কে ?” গোবিন্দগুপ্ত আর স্কন্দ গুপ্ত ” “বন্ধু, এইমাত্ৰ শুলিলাম যে তুমি সি প্রা ও শুভ্রমতীতীরে উপস্থিত ছিলে ?” “হা, ছিলাম।” “গোবিন্দ গুপ্তকে কখনও বেীদ্ধের উপর অত্যাচার করিতে শুনিয়াছ ?” “না।” “তবে গোবিন্দগুপ্ত সদ্ধৰ্ম্মের শত্রু কি প্রকারে ?” “মহাশয়, সঙ্ঘস্থবির হরিবল তাঙ্গ বলিতে পারেন।” “বন্ধু, তুমি গোবিন্দ গুপ্তকে দেখিয়াছ ?” “বহু পূৰ্ব্বে দেখিয়াছি, এখন বোধ তযু চিনিতে পারিব ন৷ ” “স্কন্দ গুপ্তকে দেখিয়াছ ?—” “হঁ৷ ” পথিক তাহার মস্তকের উর্ষীম ধরিয়া আকর্ষণ করিল—পিঙ্গলবর্ণ কেশরাশি দ্বিতীয় পথিকের মস্তকের চতুষ্পাশ্বে ছড়াইয়া পড়িল। তখন উভয় নাগরিক রাজপথে নতজানু হইয়া বসিল । প্রথম নাগরিক কঠিল, “দেব, তবে কান্তকুঞ্জ নগর রক্ষিত হইয়াছে ?” প্রথম পথিক হাসিয়া কহিলেন, “কেন ?” “তাহা না হইলে মহারাজ-পুত্র যুবরাজকে নগরে দেখিতে পাইতাম না।” “নগর রক্ষিত হইয়াছে, নিশ্চিন্ত মনে গৃহে ফিরিয়া যাও, আমাদিগকে দেখিয়াছ একথা কাহার ও নিকট প্রকাশ করি ও না ।” সন্ধ্যা হইল, মহোদয়-নগরে অসংখ্য দীপমালা জ্বলিয়া উঠিল, তরুণী পাটলিপুত্রিক গণিকাগণ পথে পথে নৃত্য আরম্ভ করিয়া দিল, তখন পথিকদ্বয় জাহ্নবীতীরবর্তী বিশাল প্রাসাদে প্রবেশ করিলেন, পরিখাবেষ্টিত প্রাসাদের তোরণে একজন প্রহরী জনৈক তরুণী পরিচারিকার সহিত রসালাপ করিতেছিল । পথিকদ্বয় তাহার সম্মুখে দাড়াইয়া মস্তকের উষ্ণীষ খুলিয়া পুনরায় বন্ধন করিতে আরম্ভ করিলেন। প্রহরী একবার র্তাহাদিগের দিকে চাহিল, দ্বিতীয় বার চাহিয়া সে রসালাপ বন্ধ করিল এবং তৃতীয় বার চাহিয়া ছুটয়া আসিয়া প্রথম পথিকের পাদদ্বয় আলিঙ্গন করিল এবং আবেগরুদ্ধকণ্ঠে বলিয়া উঠিল, “প্রভু।” মহারাজপুত্র
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৩৩৮
অবয়ব