পাতা:কর্ণাটকুমার.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কর্ণাট কুমার । । - So য়িনী সেনার আর্তনাদ আমার কর্ণ কুহরে প্রবিষ্ট হ’ল, অমনি নিকটস্থ এক পৰ্ব্বত শিখরে উঠে দেখি, বীরবল্লভ কর্ণাট যুবরাজের সহিত সম্মুখ সমরে প্রবৃত্ত হয়েছেন । নদী প্রবাহের ন্যায় রক্তের স্রোত প্রবাহিত হচ্ছে, উজ্জ্বয়িনী সেনা ছিন্ন ভিন্ন হয়ে পড়েছে ; রাজপুত্র রঞ্জন মত্ত মাতঙ্গের ন্যায় भूझ्भूश् আকাশ ভেদী ভয়ঙ্কর ধ্বনিতে পৰ্ব্বত প্রদেশ প্রতিধ্বনিত করছেন । রাজা । ভাল, তোমার কি বোধ হয় বীর বল্লভ পরাস্ত হবেন ? অমর। মহারাজ ! তা এখন কেমন করে বলতে পারি, জয় পরাজয় ঈশ্বরের হাত ; কিন্তু, রঞ্জনের ন্যায় বীর পুৰুষ আমি কখন স্বচক্ষে দেখি নাই। বীরবল্লভ যতই অস্ত্র সঞ্চালন করছেন, কৌশল ক্রমে সেই কর্ণাট পুত্র স্বীয় বিশাল তরবারী দ্বারা সে সকলই প্রতিঘাত করছেন ; অধিক কি বলব, এমন এক এক সময় বোধ হতে লাগল, যে কর্ণাট যুবরাজ রণশায়ী হলেন, কিন্তু, তার অব্যবহিত পরেই দেখি, তিনি সেই উদ্যম, সেই অলৌলিক বলবীৰ্য্যের সহিত পুনঃ সম্মুখ সময়ে প্রবৃত্ত হয়েছেন। নেপথ্যে ৷ বিজয় বাদ্য । প্রজ্ঞা । মহারাজ ! ঐ শুনুন, ঐ শুনুন, অদূরে জয়ধ্বনি স্থচক তুরি ভেরী ও বিজয় বাদ্য হচ্ছে, এতদিনে বুঝি দেবতারা আপনকার প্রতি অনুকূল হলেন। - . (সকলে চারিদিক নিরীক্ষণ ) রাজা। হুঁ হুঁ। তাইত, এ যে জয় স্থচক বাদ্য (দূরে দৃষ্টিনিক্ষেপ \)