পাতা:কর্ম্মফল - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
দশম পরিচ্ছেদ।
৪৫

 জায়া। আইন ত তোমাদেরই হাতে- তোমরা চোখ বুজে একটা বিধান দিয়ে দাও না।

 ভাদুড়ি। ব্যস্ত হয়ো না-পোষ্যপুত্র না নিলেও অন্য উপায় আছে।

 জায়া। আমাকে বাঁচালে! আমি ভাবছিলেম সম্বন্ধ ভাঙি কি করে! আবার আমাদের নেলি যে রকম জেদালো মেয়ে সে যে কি করে। বসত বলা যায় না। কিন্তু তাই বলে গরীবের হাতে ত মেয়ে দেওয়া যায় না। ঐ দেখ তোমার মেয়ে কেঁদে চোখ ফুলিয়েছে। কাল যখন খেতে বসেছিল এমন সময় সতীশের বাপ-মরার খবর পেল অমনি তখনি উঠে চলে গেল।

 ভাদুড়ি। কিন্তু নেলি যে সতীশকে ভালবাসে। সে ত দেখে মনে হয় না। ওত সতীশকে নাকের জলে চোখের জলে করে। আমি আরো মনে কর্‌তাম নন্দীর উপরেই ওর বেশী টান।

 জায়া। তোমার মেয়েটির ঐ স্বভাব—সে যাকে ভালবাসে তাকেই জ্বালাতন করে। দেখনা বিড়াল ছানাটাকে নিয়ে কি কাণ্ডটাই করে! কিন্তু আশ্চর্য্য এই তবু ত ওকে কেউ ছাড়তে চায় না।