পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/১৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ষষ্ঠ অধ্যায়।
১২৭

হইবে। আর এক ব্যক্তি চিৎপুর পোলের অপর দিকে একটি বোর্ডিং-স্কুলের বিজ্ঞাপন প্রচার করিয়া বলিয়াছিলেন যে, তথায় পড়া, লেখা ও অঙ্ক শিক্ষা দেওয়া হয়; বেতন শিক্ষকের টেবিলে মাসিক ৫০ টাকা, এবং স্বতন্ত্র টেবিলে মাসিক ৩০ টাকা; একজন সহ- কারী না পাওয়া পর্যন্ত ১৪ টীর অধিক বালক লওয়া হইবে না। ১৭৮১ অব্দে গ্রিফিথ সাহেব বৈঠকখানার নিকট তাহার বাগান বাড়ীতে একটি বোর্ডিং স্কুল করেন; তথায় “তরুণবয়স্ক ভদ্রসন্তান- দিগকে ভদ্রলোকের মত খাইতে দেওয়া হয়, তাহাদের প্রতি কোমল ব্যবহার করা হয়, এবং তাহাদিগকে অতি শীঘ্র শীঘ্র শিক্ষা দেওয়া হয়।

 ১৮৮০ সালে আর্চ্চার সাহেব কেবল বালকদিগের জন্য একটা স্কুল স্থাপন করেন। তাহার উন্নতি দেখিয়া আরও অনেকে আসরে অবতীর্ণ হইল। সে কালের যে সে লোকে স্কুল খুলিয়া বসিত। যাহারা খানসামা বা পাদুকাকার হইবার উপযুক্ত, তাহারাও স্কুল খুলিয়া অধ্যাপকের আসনে বসিয়া যাইত। এ সম্বন্ধে জনৈক লেখক লিখিয়াছেন—“অকর্মণ্য সৈনিক, দেউলিয়া মহাজন, সৰ্বস্বান্ত মিতব্যয়ী সকলেই এই বৃত্তি অবলম্বন করিত। ইহাকে তাহার উপার্জ্জনের একটি সুন্দর পথ মনে করিত। কথিত আছে যে, আন্দিরাম দাস নামক এক ব্যক্তি তাহার নিজ বাড়ীতে একটি স্কুল খুলিয়া বসিয়াছিল; তথায় কতকগুলি হিন্দু বালক প্রত্যহ যাতায়াত করিত এবং তাহার পুস্তক হইতে কিঞ্চিৎ জ্ঞান লাভ করিবার আশায় তাহার সুযোগ সুবিধার প্রতীক্ষায় কয়েক ঘণ্টা করিয়া বসিয়া থাকিত। এই ধর্ম্মনিষ্ঠ দেশহিতৈষী ছাত্রদের পাঠের নিমিত্ত প্রতি দিল পাঁচ ছয়টী কথা বলিয়া দিত।”