পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/২৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

षडॆ वर्ध्नि । >వసి র মুদ্রা বেতন পাইতেন ও একহাজারী মন্সবদার ছিলেন । বাদসানমার মতে, ১৬৩০-৩১ খৃঃ অবো তিনি বঙ্গদেশের শাসনকৰ্ত্তা ছিলেন । পর বৎসর তাহার বেতন বৃদ্ধি হয় এবং তিনি মন্সবদারীতেও উন্নীত হন। ১৬৩৪ খৃঃ অকো তিনি আগরায় উপস্থিত ছিলেন । সেই সময়ে, তিনি দয়াটকে বঙ্গদেশ হইতে আনীত দুইটী হস্তী ও আটট উৎকৃষ্ট অশ্ব উপঢৌকন প্রদান করেন। ঐ বৎসরে, তিনি ইসলামখণর সহিত পুনরায় বদদেশে আসেন । ইহার তিন বৎসর পরে, ইসলাম খণ তাহাকে কুচবিছার জয় করিতে পাঠান। কুচবিহার ও আসামের যুদ্ধে জয়লাভ করায় আগামহম্মদের আরও পদোন্নতি হয়। ১০৫১ হিজিরাবে সাজাহান,তাহার পুত্ৰ সাহাঞ্জাদ মুজাকে উড়িষ্যা-প্রদেশের শাসনকর্তৃত্ব প্রদান করেন। মুজাকে তিনি বলিয়া দেন,“মহম্মদ জামান তাহারানী”কে উড়িষ্যার শাসনকৰ্ত্ত করিয়া দিও। তিনি একজন সুদক্ষ শাসনকৰ্ত্তা ।” ইহার পরে তাহারানী - উড়িষ্যা ও বঙ্গদেশের সহিত সম্পর্ক ত্যাগ করিয়া বালখ প্রদেশে গমন করেন । সেই সময়ের ইংরাজদিগের অতি প্রাচীন কাগজ পত্র হইতে প্রমাণ হয়, মহম্মদ জামান দুইবার উড়িষ্যা প্রদেশের শাসনকৰ্ত্ত হইয়া আসিয়াছিলেন । ইংরাজ বণিকগণ, তাহদের লিখিত কাহিনীতে এই মহম্মদ জামানকেই “নবাব” বলিয়া উল্লেখ করিয়া গিয়াছেন। প্রথমদিনে কার্য্যসিদ্ধি হইল না দেখিয়া, ইংরাজগণ পরদিন পুনরায় নবাব দরবারে উপস্থিত হইলেন। কিন্তু সেখানে উপস্থিত হইয় তাহারা দেখিলেন, হরিশপুরে যে ছৰ্দান্ত পটুগীজ রাখোদার সহিত র্তাহীদের বিবাদ হইয়াছিল,সে সশরীরে সেই নবাব-দরবারে উপস্থিত। ইতিপূৰ্ব্বেই সে নবাবের একজন সভাসদকে হস্তগত করিয়া, নালিশ রুজু করিয়া দিয়াছে—“যে ইংরাজগণ, তাহার জাহাজের দ্রব্যাদি লুঠ করিয়া লোকদিগকে আহত করিয়াছে।” কিন্তু তখন ইংরাজের সৌভাগ্যোদয় আরম্ভ হইয়াছে। কাজেই এ নালিশ টিকিল না। নবাব, পটুগীজদের ছলনায় ভুলিলেন না বটে—কিন্তু যখন তিনি দেখিলেন, জাহাজ দুখানি পিপলি বন্দরের, আর সে বনার মোগলের অধীনে, তখন তিনি সেই জাহাজ দুখানি সরকারে বাজেয়াপ্ত করিলেন। ইংরাজের ভাবিয়াছিলেন, নবাব পটুগীজ জাহাজ দুখানি ক্ষতিপূরণস্বরূপ তাহাৱেই দিবেন। কিন্তু তাহ না হওয়ায়, কাটরাইট অতিশয় ভগ্নমনোরথ হইলেন। তিনি ক্রুদ্ধভাবে বলিলেন- “আপনার নিকট