পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/৩২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ অধ্যায় । ২৮৭ rরিয়াছে। কিন্তু তাহার পূৰ্ব্বে কলিকাতা গ্রামের একটা নাম ঘোষণা ইয়াছিল। চণ্ডীকাব্য হইতে পাঠক দেখিলেন, আগ্রে ধনস্তগ্রাম পরে pলিকাতা, এই ভাবেই নির্দেশ আছে। কলিকাতার অধস্তনকালে, আখ্যা মুতালুট চওঁীকাব্যে নাই । চণ্ডীকাব্য রচনার পর হইতে স্থতালুটার ঐক্কপ আখ্যা হইয়াছে। গ্লাডউইনের “আইন-আকবরীতে” “ওয়াশীল তুমারজমার” মধ্যস্থ তালিকায়, এই কলিকাতাই উল্লিখিত আছে। ১৫৮২ অব্দে রাজা টোডরমল্প সমস্ত বঙ্গদেশ জরীপ করিয়া এই তালিকা প্রস্তুত করেন। আইন-আকৃবর ১৫৯৬ অব্দে শেষ হয়। ইহা হইতে প্রমাণ হইতেছে, মুতালুট নাম কলিকাতার পূরে হইয়াছে * বস্তুকদিগের সুতালুট-হাট পত্তনের নুনাধিক শত বৎসর পরে, অর্থাৎ খ্ৰীষ্টীয় ১৬৬০ অবো, ভ্যানডেন ব্রুক (Wanden Brocck ) নামক জনৈক ওলন্দাজ, তৎসাময়িক একখানি মানচিত্র প্রকাশ করিয়াছিলেন। তাহাতে (Socianotti ) বলিয়া একটা গ্রামের নামোল্লেখ আছে। সেই সময়ে কলিকাতার মধ্যে সুতার ও সেই সঙ্গে সুতার-লুটার বাণিজ্য ধীরে ধীরে বুদ্ধি পাইতেছিল । সেকালে বাঙ্গলার সূক্ষ্ম-স্বত্র-শিল্প, এক অপূৰ্ব্ব জিনিষ ছিল। “ঢাকাই মসলিনৃ" বঙ্গের অতীত গৌরবের সামগ্ৰী। ইউরোপের অনেক সাম্রাঞ্জী, ভারতের মোগল বাদসহিদিগের পাটরাণীগণ, বেগমগণ, এই ঢাকাই-মসলিন্‌ নিৰ্ম্মিত পোষাক পরিবার জন্ত, উদগ্রীব হুইয়া থাকিতেন। ঢাকার দশবার ক্রোশ উত্তর পূর্বে, ডুমরাও নামক একটা স্থান, অতীতকালে এইরূপ সূক্ষ্ম-সূত্র-শিল্পের জন্য বিখ্যাত ছিল । এখনও সেখানে অনেক তত্ত্বধায়ের

  • Gladwin's Ain-Akbari. Vol II P. 206.
  • অনেকে অনুমান করেন, বসাকেরাই তত্ত্ববায়ের কাজ করিতেন, বস্ত্র ও স্বতা প্রস্তুত্ত করিতেন। কিন্তু "বস্থক” নামক জাতিস্তত্ব বিচার গ্রন্থপ্রণেতা মদনমোহন বাবু বলেন— "বস্তুকের তন্তুবায়দিগের নিকট বস্ত্রবয়ন করাইয়া লইতেন। এই নিম্নশ্রেণীস্থ বয়ন-জীবিগণ, বঠকদের নিকট কাপাস গ্রহণ করিত এবং চরকায় সুতা কাটিবার জন্ত তুলার পাজ প্রস্তুত তি। এই সমস্ত তুলা বহক বা বসাকদের নিকট গৃহীত হইত এবং চরকায় সুতা বির জন্য ব্যবহৃত হইত। পরে আবার সুত্র বা বস্ত্রকারে তাহাদিগকেই প্রদত্ত হইত। এই আদান ক্রিয়ার অবাস্তুর সম্বন্ধ বশতঃ ঐ সকল তুলার পাজ “বকুক বা বোসকে” নামে Sg0 D DDD BBB BBB BBBBBS BBBBB SBBBS BBB SSSSSS SDDS * কৰ্ত্তনীর অপভ্রংশ। এখনও পর্যাস্ত কটন শব্দ বঙ্গদেশ হইতে লোপ পায় নাই—এবং ণে যদুর মফঃস্বলে কাটন-কাটার প্রথা-বৃদ্ধ বিধবাধের মধ্যে এখনও প্রচলিত আছে। "ণে একটা প্রাদই আছে—“কটন কাটন ধন।"