পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/৩৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্রয়োদশ অধ্যায়। ৩৪৭ সাক্ষাৎলাভ জন্য, শিবিরের বহির্ভাগে অপেক্ষা করিতে থাকেন। রহিম-স। রোগল-সেনাপতিকে প্রবঞ্চিত করিবার জন্ত, আফগান সৈন্যদিগকে সুসজ্জিত ভাবে শিবির মধ্যে লুকায়িত রাখিয়াছিল। রহিম-স নানারূপ ছলনা ও কৌশল অবলম্বন করিয়া, খাজা আনওয়ারকে শিবিরে প্রবেশ করিতে অনুরোধ করা—আনওয়ার আপত্তি প্রদর্শন করিয়া বলিলেন,—"ম ইতেও অগ্নি প্ৰজলিত হইতে পারে।” তিনি রহিম-সাকে বলিয়া পাঠাইলেন,—“আপনি স্বচ্ছন্দে বাহিরে অসিয়া আমার সহিত সাক্ষাৎ করিতে পারেন। আপনার কোন আশঙ্কাই নাই ।” রছিম-সাহ, আনওয়ারের এ অন্তরোধ রক্ষা না করিয়া, মুসজ্জিত সৈন্স সমভিব্যারে, বৃহ হইতে বহির্গত হইয়া, অপ্রীতিকর বাক্য উচ্চারণ করিতে করিতে,নবাব আনওয়ার খণর সম্মুখে উপস্থিত হইল। বাক্য বর্ষণের পর, অস্ত্রবর্ষণ আরম্ভ হইল। মোগল-সেনাপতি, এ নীচ জনোচিজ ব্যবহারে বিরক্ত হইয়া ও তাহার আস্তরিক দুরভিসন্ধি বুঝিতে পারিয়া, স্বীয় আগমনোদে অসম্পূর্ণ রাখিয়াই প্রত্যাবৰ্ত্তন করিতে উদ্যত হইলেন। কিন্তু দুবৃৰ্ত্ত রহিম-সাঙ্গ, অগ্রবত্তী হইয় তাহাকে অন্যায়ভাবে আক্রমণ করিল এবং তিনি ৪ বাধ্য হইয়া বীরপুরুষের চায় যুদ্ধে প্রবৃত্ত হইলেন । এষ্ট ক্ষুদ্র বিবাদের পরিণামে, আনওয়ার র্থ কতিপয় সহচরসহ–জীবন বিসর্জন করেন । ইহার পর রহিম-সা, রাজ-শিবির আক্রমণ করে । এই কার্য্যে অগ্রসর হইবার পূৰ্ব্বে, রহিম-সা অতি সুকৌশলে বৃহ-রচনা করিয়াছিল। সম্রাট শিবিরের একদিক আক্রমিত হইবার পর, রহিম-সহ মহাবি ক্ৰমে কতিপয় বর্ষাধারী, লৌহবৰ্ম্মাচ্ছাদিত, আফগান-যোদ্ধাসহ, রাজসৈন্তের মধ্যস্থলে উপস্থিত হইয়া, চীৎকার পূর্বক আজিমওখানকে সম্মুখ যুদ্ধে আহবান করিল। মোগল-অশ্বারোহী ও পদাতিকগণ, সহগ এইভাবে আক্রান্ত হইয়া, কিংকৰ্ত্তব্যবিমূঢ় হইয়া পড়িল। তাহারা আফগানদিগের প্রচণ্ড অম্ববর্ষরে সম্মুখীন হইতে না পারিয়া, সাহজাদাকে শত্রুর সম্মুখে পরিত্যাগ করিয়া পলায়ন করিল। রহিম-সা—মহাবিক্রমে, স্বরচিত মোগল-ব্যুহ ছিন্ন-বিছিন্ন করিল ও তৎপরে আজিমওখান যে হস্তীর উপর আরোহণ করিয়াছিলেন, তাহা আক্রমণ করিতে ধাবিত হইল। . 爵 আজিমের জীবন মহা বিপন্ন অবস্থায় উপনীত দেখিয়া, তাহার একজন বিস্ত অমুচর, কোরেশ-বংশীয় হামিদ খ7, প্রচণ্ডবেগে অশ্বচালনা করিয়া