প্রবোধ দিলেন, পরে আরো কতকগুলি কথা আমার নামে দাদার নিকটে বল্লেন, দাদা কোন কথারই উত্তর দিচ্ছেন না, সমুদয় কথায়ই হয় হয় কচ্চেন কিন্তু দাদা বৌর কথা বেদস্বরূপ মানিলেন, আমি শেচে দাঁড়াইয়া সমুদয় কথাই শুনিতে পাইলাম।
নীল। তবে ত দেখি বৌ বড় গিপ্তাই, দেখতে শুন্তে ত তত নয়, লাজ লজ্জায় একেবারে যেন দ্রুপত্নি।
মাধব। আজ্ঞা নিচুবা ডেঙ্গ কাঁটা, খাওনের যম, আর লোকে যে বলে লাজে বৌ ভাত খায় না চালিতা হেন গ্রাস, ওর যে তাই হচ্ছে।
নীল। ভাল এহাতে শুভঙ্কর কিছু বল্লে না?
মাধব। তা হলে আর এমন হবে কেন?
নীল। তোমাদের পিতার সম্পত্তি কি আছে।
মাধব। আজ্ঞা একটি আবাল আর একটী বকুন বাছুর, আর দাদাকে যে বিবাহ করাইয়াছেন।
নীল। (হাস্য করিয়া) সেই বিবাহের সরিক কি তুই রে?
মাধব। আইগা সে কথা বলি না, দাদাকে যে টাকা ব্যয় করে বিবাহ করায়েছেন, সেই টাকার সরিকের কথা বল্ছি।
নীল। আচ্ছা, আমি এসব কথা শুভঙ্করকে বলব, দেখি সে কি কয় পরে তোমাকে জানাইব।