পাতা:কল্পদ্রুম তৃতীয় খণ্ড.djvu/১৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

:് 2 কল্পদ্রুম | স্থির করিয়া থাকেন। কোন দুজ্ঞেয় নিগৃঢ় তত্ত্ব র্তাহীদের অবিদিত নাই। সৰ্প জাতির জিহবা অতি দীর্ঘকার । শীতনিদ্রার সময় তাহারা উহা আকর্ষণ করিয়া কণ্ঠমূলে প্রবেশ করিয়া দেয় এবং তদবস্থায় শ্বাসরোধ দ্বারা অনশনে সুখে নিদ্রা যায়। যাহাদের জিহব স্বভাবতঃ দীঘ পাতল এবং অপেক্ষাকৃত অধিক স্থিতিস্থাপক, উলটাইলে উহার অগ্রভাগ দ্বারা কণ্ঠ প্রদেশ পৰ্য্যস্ত স্পর্শ করিতে পারা যায়, তাহদের জিহবার নিম্নস্থ চৰ্ম্ম প্রায় কাটিতে হয় না। কিছু দিন সাধিলে অবলীলাক্রমে উহা অন্ননালীর পথ পর্য্যন্ত প্রবিষ্ট হইতে পারে । কুম্ভকের সময় যোগী জিহবার অগ্রভাগ দ্বারা উপজিহবকে (Epiglattis ) চাপিয়া শ্বাসরন্ধের অপ্রশস্ত প্রদেশকে (Rimagluttis) রোধ করেন। এই উপায় দ্বারা বায়ুর বেগ ধারণ করিয়া অনেকদিন পর্য্যস্ত থাকিতে পারা যায়। যোগীদিগের মতে এই খেচৰী মুদ্র কুস্তকাভ্যাসের বিশেষ অমুকুল । তাহারা কহেন চতুৰ্ব্বিংশতি বৎসর এইরূপ কুম্ভক সাধিতে পারিলে দেহের সমস্ত শোণিত রাশি পয়োবং শুভ্ররসে ( Chyle ) পরিণত হয়। তখন ক্ষুধা, তৃষ্ণ, নিদ্রা, মুখদুঃখ বোপ কিছুই থাকে না। তাহদের মতে, পবিত্র হৃদয়পটে নিষ্কলঙ্ক পরমাত্মার স্বৰূপ প্রতীতি করিবার এই একমাত্র উপায় । শ্বাস প্রশ্বাসের শৈথিল্য ও প্রথর্য্য শরীরের উপর যে কিরূপ কাৰ্য্য করে,নিম্ন লিখিত তদ্বিবরণ পাঠ করিা পাঠক চমৎকৃত হইবেন। ডাক্তার হিউস অনেক স্থলে শস্ত্রচিকিৎসায় ক্লোরফরমাদি চৈতন্যহারক ঔষধ প্রয়োগ না করিয়া এক নূতন পথ অবলম্বন করিয়াছেন। তিনি রোগীকে ঘন ঘন নিশ্বাস তুলিতে ও ফেলিতে কহেন, এমন কি প্রতি মিনিটে নিশ্বাস প্রশ্বাসের সংথ ! যেন ১০• একশতবার হয় । এইরূপে অচৈতন্য সম্পাদনের সময় রোগীকে দক্ষিণ পাশ্বে সুস্থির ভাবে শয়ন করাইয়। মুখের উপর একখানি বস্ত্র ঢাকা দেন । ৫ । ৬ মিনিটের পর সমস্ত স্নায়বিক উত্তেজন শাস্ত হইয় পড়ে এবং সকল যন্ত্রণার উপশম হয় । চিকিৎসক যখন এই সকল কাজের অনুষ্ঠান করেন, তখন নিকটে কোন প্রকার শব্দ হইতে দেন না । বিষয়াস্তরে মন আকৃষ্ট হইলে অভীষ্টসিদ্ধির ব্যাঘাত ঘটে। দিবাকাল অপেক্ষ রাত্রিই অধিক প্রশস্ত এবং পুরুষ অপেক্ষ স্ত্রীলোকের এই প্রণালীতে চৈতন্য হরণ অনায়াসসাধ্য । রোগী অজ্ঞান হইবার পূৰ্ব্বেমস্তকে কিঞ্চিংভার বোধ হয়। সৰ্ব্ব শরীর উত্তেজিত এবং মুখমণ্ডল মারক্তিম হইয়া উঠে। অত্যন্ত্রকাল পরেই মুখশ্ৰী