হিন্দুদিগের বহির্বাণিজ্য । «ე ჯs বাণিজ্য করিবেন ? তাহারাও চীনে গমন করিতেন। অতি প্রাচীন রামায়ণ গ্রন্থের কিস্কিন্ধ্যা কাণ্ডের ৪০ সর্গের ২৩ শ্লোকে হিন্দুদিগের চীনদেশে চীনাংশুক বা চীন-চেলক বস্ত্রাদি আনিতে যাইবার উল্লেখ আছে দেখিতে পাওয়া যায় । যথা:-- “ ভূমিঞ্চ কোষকারাণাং ভূমিঞ্চ রজতাকরাং " ইত্যাদি । টীকাকার এখানে কোষকারের ভূমি চীনকেই উল্লেখ করি য়াছেন। এতদ্বারা জানিতে পার। যাইতেছে, অতি প্রাচীন সময়েও হিন্দুরা চীনে বাণিজ্যাৰ্থ গমন করিতেন । হিন্দুদিগের গ্রন্থ ব্যতীত শুনিতে পাওয়া যায়, বৌদ্ধদিগেরও দুই এক খানি প্রাচীন গ্রন্থে নাকি হিন্দুদিগের চীনে বাণিজ্য করিতে যাইবার বিষয় লিখিত আছে। । ২য়, আফগানি স্থান । আফগানি স্থান পাৰ্ব্বত্য দেশ। এখানকার ফল অতি উৎকৃষ্ট । তদ্ভিন্ন বুৱাক নামক এক জাতীয় মার্জার অতি প্রসিদ্ধ। তাহদের লোম অতি দীর্ঘ ও সেই লোমে শাল প্রস্তুত হয়। প্রাচীন গান্ধার রাজ্য যেখানকার রাজকন্যা গান্ধারীর দুৰ্য্যোধনাদি শত পুত্রকে ও একাদশ অক্ষৌহিণী (২) সেনাকে পতঙ্গের ন্যায় অকালে আহুতি দিবার জন্য কাল কুরুক্ষেত্রের ভীষণ সমরাগ্নি প্রজলিত হইয়াছিল—এখানেই ছিল । কেহ কেহ বলিয়া থাকেন, বৰ্ত্তমান কান্দাহারই প্রাচীন গান্ধীর নগর । কিন্তু রাজতরঙ্গিণীর মতে গান্ধার রাজ্য সিন্ধু ও কাশ্মীরের সন্নিকট ছিল। এ মতেও প্রাচীন গন্ধার বর্তমান কান্দাহার হওয়া বড় অসম্ভব নহে। কারণ, গান্ধার যখন একটী রাজ্য ছিল, তখন তাহা যে নিতান্ত ক্ষুদ্র ছিল এমন নহে। তাহ সিন্ধু ও কাশ্মীরের পশ্চিম প্রান্ত হইতে কান্দাহার পর্য্যন্ত বিস্তৃত থাকিতে পারে। গান্ধারের অশ্ব অতি উৎকৃষ্ট ছিল। হিন্দুর এখান হইতে অশ্বাদি আনয়ন করিতেন । হরিবংশে এই উৎকৃষ্ট অশ্বের প্রশংসা দেখিতে পাওয়া যায় । যথা:–
- খ্যায়তে তস্য নাম। তু গান্ধীরবিষয়ে মহান । গান্ধারদেশজাশ্চাপি তুরগা বাজিনাং বরাঃ ॥ "
(২) ১ র থ, ১ গজ ৫ পদাতি ৩ অশ্ব ইহাতে এক পংক্তি হয়। ইহার ৩ পংক্তিতে ১ সেনামুখ ; ৩ সেনামুথে ১ গুল্ম ; ৩ গুন্মে ১ গণ ; ও গণে ১ বাহিনী; ৩ বাহিনীতে ১ পৃত্তন';