পাতা:কল্পদ্রুম তৃতীয় খণ্ড.djvu/৬৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○ケ○ কল্প ক্রম । পোত সমূঠ যুদ্ধার্থও ব্যবহৃত হইত ইত্যাদি (২ )। পাঠক দেখিলেন, প্রাচীন হিন্দুরা শুদ্ধ বাণিজ্যের জন্য পোতনিৰ্ম্মাণ করিতেন না ; তাছার সামরিক পোতও নিৰ্ম্মাণ করিতেন। জলযুদ্ধেও তাছারা সুপণ্ডিত ছিলেন । আর • অমরা এখন কি করিতেছি, সিংহের ঔরসে ফেরবপালের ন্যায় হইয়া ঘোর আওঁরবে ভারত প্রতিধ্বনিত করিয়া তুলিয়াছি। যুদ্ধস্থলে গমনেও আমরা সশঙ্কিত । পোতসম্বন্ধে আমাদিগের যাহা বক্তব্য ছিল, তাহা বলা হইল। অতঃপর দেখা উচিত, হিন্দুরা কি নিয়মে বাণিজাকার্যা করিতেন। তঁাচারা সকলেই কি ধনকুবের ছিলেন ? সকলেই কি স্বীয় স্বীয় অর্থে বাণিজ্যকাৰ্য্য সম্পাদন করিতেন ? না, অনেকে ঋণ করিয়া ব্যবসায় চালাইতেন। ঋণদান প্রথা প্রচলিত ছিল কি না ? যে সমাজ যতই উন্নত ও শ্ৰীবৃদ্ধি সম্পন্ন হউক না কেন, ঋণদান প্রথা ও অধমৰ্ণ সেখানে থাকিবেই—থাকিবে । অধমণশূন্য কোন সমাজই নাই। প্রাচীনন্দুি সমাজে ও ঋণদান প্রথা প্রচলিত ছিল । হিন্দুগণও অনেকে ঋণ করিয়া সমুদ্রের উপর দিয় ঘাইর বৈদেশিক বাণিজ্য কাৰ্য সম্পন্ন করিতেন। মিত্তাক্ষর পাঠ করিলে প্রাচীন সমুদ্রগামী বণিক গণের ঋণ গ্রহণের বিষয় অনেকটা অবগত হইতে পারা যায়। মিতাক্ষর ব্যবহারাধ্যায় ঋণদান প্রকরণে আছেঃ– - “ যে বৃদ্ধ্যা ধনং গৃহীত্ব অধিলাভার্থং প্রাণধনবিনাশশঙ্কাস্থানং সমুদ্রং গচ্ছন্তি তে বিশং শতকং মাসি মাসি দদ্যুঃ ” তাই বলি, পূৰ্ব্বেও দেন পাওনা প্রথা প্রচলিত ছিল। উত্তমণ ও অধমৰ্ণ আধুনিক শব্দ নহে, পুরাতন শব্দ । সে শব্দ, সে ঋণদান প্রথ। তবে অল্প আর অধিক—এখনও আছে। কিন্তু পুৰ্ব্বকার ন্যায় বিশ্বাস আর নাই ! পাঠক ! হিন্দুগণ যে অতি প্রাচীনকালে নিঃসঙ্কুচিত্তচিত্তে সমুদ্রযাত্র করিতেন ; বাণিজ্যহেতু অতি প্রাচীন সময়ে যে বহুদূরস্থিত বহুতর জাতির সহিত র্তাহাদের অতি ঘনিষ্ঠ তা ছিল ; তাহারা যে স্বহস্তে পোতাদি নিৰ্ম্মাণ করিতেন ; আপনার ক্রমশঃ সে সকল দেখিতে পাইলেন। কিন্তু বলিতে হৃদয় শতধা বিদীর্ণ হয়, বর্তমান হিন্দু সন্তানগণের (আমাদের ) সে সকলের আর কিছুই নাই। সমুদ্রযাত্রা করিলে এক্ষণে সমাজচ্যুত হইতে হয়। দূরদেশৰাসী (2) See the clphinstone's India Wol 1, - P. 459.